আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
গাজীপুরের শ্রীপুরে বন বিভাগের দখল করা জমি উদ্ধারের অভিযানে হামলা চালিয়েছে বনের জায়গা দখলকারীরা। এতে এসিল্যান্ডসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িসহ তিনটি গাড়ি ও দু’টি এক্সকেভেটর ভাঙচুর করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার ইজ্জতপুর এলাকায় অভিযান চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে শ্রীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল, ইউএনও’র গাড়ি চালক হানিফ, স্টাফ আশিকুর রহমান, রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জ কর্মকর্তার গাড়ি চালক লিটন, এক্সকেভেটর মেশিনের অপারেটর রাসেল ও হাকিমুল্লাহ্সহ অন্তত ১০জন আহত হয়। এ ঘটনায় দুই হামলাকারীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রশাসন বন বিভাগ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার ৪৯নং কাফিলতলী মৌজার বনের জমি দীর্ঘদিন ধরে জবর দখল হয়ে আসছে। গত ৫ আগস্ট গণঅভূত্থানের পর শ্রীপুরে ব্যাপক হারে বনের জমি দখল হয়। গত কয়েকদিন ধরে বন বিভাগের জায়গাতে গড়ে তোলা ওইসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। তারপরও অবৈধ দখলদাররা বন বিভাগের জায়গা থেকে স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি।
মঙ্গলবার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ইজ্জতপুর এলাকায় সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বন বিভাগ। অভিযানে ওই এলাকার কয়েক একর বনভূমি উদ্ধার ও বনের জায়গাতে গড়ে তোলা শতাধিক স্থাপনা এক্সকেভেটর মেশিনের সাহায্যে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। বেলা ৩টায় অভিযান শেষে ফেরার পথে হঠাৎই স্থানীয় বনের জায়গা দখলকারীরা একত্রিত হয়ে উপজেলা প্রশাসনের উপর হামলা চালায়।
ঢাকা বন বিভাগের সরকারী বন সংরক্ষণ (এসিএফ) শামসুল আরেফিন জানান, বন আইনের ৬৬ ধারায় কাফিলাতলী গ্রাম এবং ইজ্জতপুর বাজারে বন বিভাগের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান শেষে ফেরার পথে বনের জায়গা জবরদখলকারীরা পেছন থেকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তিনটি গাড়ি, দুটি এক্সকেভেটর ভাঙচুর করে। হামলায় আহত হয় অন্তত ১০জন।
শ্রীপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল বলেন, অভিযান প্রায় শেষের দিকে। এ সময় একটি জমির মালিকানা নিয়ে রেল ও বন বিভাগের সম্পৃক্ত নিয়ে স্থানীয় অভিযোগ জানায়। এ সময় ওই জমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধ করে ফেলার পথে অতর্কিতভাবে ওই জায়গার দোকান ও বসত ঘরের মালিকরা পাশেই রেললাইন থেকে পাথর ও ইট নিয়ে হামলা শুরু করে। এ সময় ইউএনও স্যারের গাড়ি ও আমার গাড়িতে ঢিল ছোঁড়া শুরু করে। এক্সকেভেটরের দুই চালককে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। আমার উপর ও ইউএনও অফিসের দু’জন স্টাফের উপর হামলা করেছে। হয়তো তাদের কেউ ইন্ধন দিয়ে এমন কাজ করিয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ বলেন, হামলায় সম্পৃক্ত কয়েকজন নাম আমরা পেয়েছি। এদের মধ্যে সিরাজুল, তার ছেলে মাসুদ, তার বোন ও স্ত্রী, মেয়ে শারমিন। বাকিদেরও পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে বন বিভাগ তার বন আইনে মামলা করবে, আমরাও মামলা করব।