আজ বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
নিজেস্ব প্রতিবেদক
আগামী ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এ উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভা শেষে তিনি জানান, শ্রমিক দিবসে বিএনপির উদ্যোগে একটি বড় সমাবেশ আয়োজিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের এক যৌথসভা হয়।
সরকারি ছুটির দিনে সমাবেশ হওয়ার কারণে জনদুর্ভোগ কম হবে বলেও আশা করেন নজরুল ইসলাম। ১ মে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ইচ্ছা ছিল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) থাকতে অনুরোধ করব। কিন্তু উনার শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। এজন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অনুরোধ করেছি। আশা করছি, তিনি ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন।
সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম।
শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো বিএনপি সমর্থন করে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে যেটা মনে হয়েছে শ্রম সংস্কার কমিশন শুধু শ্রমিকদের দিয়ে নয়, এই কমিশনের সদস্য হিসেবে সরকার পক্ষের লোক আছে, মালিক পক্ষের লোক আছে এবং স্বাধীন ব্যক্তিও আছেন। কাজে তারা সবাই মিলে যে সুপারিশ করেছে শ্রমিকদের সব আকাঙ্ক্ষার কথা পূরণ করা যায়নি। কিন্তু যতটুকু করা হয়েছে সেটাকে আমরা সমর্থন করি।
বিএনপির এই শ্রমিক নেতা বলেন, এ দেশের শ্রমজীবী মানুষরা ভালো নেই। আগেও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ন্যূনতম মজুরি আদায় করতে পারিনি। মে দিবসের মূল দাবি ছিল, দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ। এই দাবি আদায়ের লড়াই ছিল মে দিবসের লড়াই। কিন্তু বিজয় লাভের পরও সব শ্রমিক ৮ ঘণ্টা কাজের অধিকার পেয়েছে এটা বলা যাবে না।
আমাদের দেশে সংগঠিত শিল্প সেক্টরে শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো হয়, সেটা অনেক ক্ষেত্রে বিনা বেতনে বলেও দাবি করেন নজরুল ইসলাম।
সমাবেশ সফল করতে বিএনপির অঙ্গসংগঠন শ্রমিক দল বেশ কয়েকবার মিটিং এবং উদযাপন কমিটি গঠন করেছে বলেও জানান নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আমন্ত্রণে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগীগুলো আলোচনা করেছি কীভাবে সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠভাবে করা যায়।
ঢাকার সমাবেশে আশপাশের জেলার নেতারা অংশ নেবেন বলে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য জেলার নেতারা নিজ-নিজ উদ্যোগে স্ব-স্ব জেলায় কর্মসূচি পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।