আজ রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
নিজেস্ব প্রতিবেদক
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ পহেলা বৈশাখের কেন্দ্রীয় আয়োজন “মঙ্গল শোভাযাত্রা” থেকে “মঙ্গল” শব্দটি বাদ দিয়ে “আনন্দ” শব্দ ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, এই শোভাযাত্রা হিন্দু ধর্মের একটি ঐতিহ্য এবং তারা এটিকে জন্মাষ্টমী উৎসবের সাথে সম্পর্কিত একটি হিন্দু ধর্মীয় রীতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে সংগঠনটির আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এবং মহাসচিব সাজেদুর রহমান বলেন, “মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দু ঐতিহ্যের অংশ এবং এটি সাংস্কৃতিক সাম্যের নামে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তারা আরও দাবি করেন যে, এই শোভাযাত্রা মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিবছরের জন্মাষ্টমী উৎসবের প্রতিফলন।
হেফাজত নেতারা বলেন, “বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিবছর তাদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সাড়ম্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকে। কিন্তু পহেলা বৈশাখ উদযাপনে তাদের এই ধর্মীয় আচরণকে সর্বজনীনতার নামে সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদকে এই সংস্কৃতির উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করে আরও দাবি করেন যে, ১৯৮৯ সালে প্রথম পালিত “আনন্দ শোভাযাত্রা” পরে “মঙ্গল শোভাযাত্রা” রূপে পরিণত হয়েছে এবং এটি তারা ভারতীয় ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখে। তারা বলেন, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো “মঙ্গল শোভাযাত্রা”-কে “অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়।
হেফাজত নেতারা আরো দাবি করেন, “আনন্দ শোভাযাত্রা” ছিল কমপক্ষে সাম্প্রদায়িকতায় নিরপেক্ষ এবং তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, “মঙ্গল” শব্দটি পরিবর্তন করে “আনন্দ শোভাযাত্রা” ফিরিয়ে আনতে। তাদের মতে, জাতীয় উৎসবে ইসলামের তৌহিদি চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক কোনো চিহ্ন রাখা উচিত নয়, এবং তারা মূর্তিবাদী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে।
সংগঠনটি এমনকি এও উল্লেখ করেছে যে, বৈশাখী “মঙ্গল শোভাযাত্রা”-তে হিন্দু দেবতা এবং ধর্মীয় প্রতিকৃতি থাকে, যা তারা ইসলাম বিরোধী হিসেবে দেখে।