আজ রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি :
৮ ডিসেম্বর পিরোজপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বরিশাল বিভাগের এ জেলাটি পাকহানাদার মুক্ত হয়। এ দিনে জেলার ঘরে ঘরে উড়েছিল লাল সবুজের বিজয় পতাকা। মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুর ছিল নবম সেক্টরের অধীন সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলাকা। ১৯৭১ সালের ৪ মে পিরোজপুরে প্রথম পাকবাহিনী প্রবেশ করে।
শহরের প্রবেশদ্বার হুলারহাট নৌ-বন্দর থেকে হানাদার বাহিনী প্রবেশের পথে প্রথমেই মাছিমপুর ও কৃষ্ণনগর গ্রামে শুরু করে হত্যাযজ্ঞ। এরপর আট মাস ধরে স্থানীয় শান্তি কমিটির নেতা ও রাজাকারদের সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকজনদের বাড়িঘরে আগুন দেয়। হত্যা করা হয় মুক্তিকামী মানুষদেরকে।
পিরোজপুরকে হানাদার মুক্ত করতে সুন্দরবনের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ৭ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে পিরোজপুরের পাড়েরহাট বন্দর দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। মুক্তিবাহিনীর এ আগমনের খবর পেয়ে শত্রু পক্ষ শহরের পূর্বদিকের কঁচানদী দিয়ে বরিশালের দিকে পালিয়ে যায়। এর আগে স্বরূপকাঠির কুড়িয়ানা এলাকার পেয়ারা বাগানে মুক্তিযোদ্ধাদের গড়ে তোলা দুর্গে পাকবাহিনী আক্রমণ করলে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বহু পাকসেনা নিহত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণে পরাজিত হতে থাকে শত্রুরা।
তারা শহর ছেড়ে যাবার আগে পিরোজপুর ন্যাশনাল ব্যাংক লুট করে সেখানকার টাকা ও গচ্ছিত রাখা স্বর্ণ নিয়ে যায়।
এই দিনটি স্মরণে আজ সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।