আজ শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
আক্কাছ আলী মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের গুহেরকান্দি গ্রামের মৃত কালু জমাদ্দার এর ছেলে নজরুল ইসলাম জমাদ্দার। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে সপরিবারে সুইজারল্যান্ডে বসবাস করছেন। বাংলাদেশে ঈদ এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময় দেশে এসে দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে অর্থ বিনিয়োগ করে আওয়ামী লীগের সাঙ্গোপাঙ্গদের চাঙা রাখেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে তার মেঝ ভাই নুরু জমাদ্দার থাকেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে বড় ২ ভাই ভাই মারা গেছে। একজন নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা করেন, আর নজরুল থাকেন সুইজারল্যান্ডে।
সরেজমিনে তার গ্রামের বাড়ীতে গেলে তার ভাই নুরু জমাদ্দার ঘরবাড়ি তালা দিয়ে সটকে পড়েন। এসময় স্থানীয়রা আসিফ নজরুলকে হেনেস্তা করার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, দেশটা বহু বছর পর ফ্যাসিবাদের শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটাকে এগিয়ে নিতে অন্তবর্তীকালীন সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সময় বিদেশের মাটিতে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাকে হেনেস্তা করা ঘটনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উচিত চুপ থাকা। কিন্তু, তারা সেটা না করে আগের মতই ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠানোর চেষ্টা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্য অভিযুক্ত নজরুল জমাদ্দারের পাসপোর্ট বাতিল করে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারেরর মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছেন তার গ্রামের বাসিন্দারা।
অপরদিকে আসিফ নজরুলকে হেনেস্তাকারী সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান দুলাল। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নে ডিঙাভাঙা সরকারপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত হাজী ইলিয়াস খাঁনের বড় ছেলে মাসুদ খান দুলাল। প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি সুইজারল্যান্ডে আছেন। গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন তার আপন ছোট ভাই মোঃ শাহীন খান।
সরেজমিনে তার বাড়ি গেলে এসময় বাড়িতে উপস্থিত থাকা ছোট ভাই শাহীন বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ঘটনাটি দেখে আমার ভাইকে ফোন করেছি। তাকে বলেছিলাম এটা করা আপনার ঠিক হয়নি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশটাকে গোছানোর কাজ করছে সরকারের উপদেষ্টারা। আসিফ নজরুল একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা। তাকে হেনেস্তা করার ঘটনায় আমিও দুঃখ প্রকাশ করছি। সে আমার আপন ভাই হয়েছে তাকে কি? আমার ভাইয়ের এমন কর্মকান্ডে আমি লজ্জিত। আমরা কোনভাবে এই ধরণের অপরাধকে সমর্থন করি না। তার কারণে আমাদের পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। শুধু মুন্সীগঞ্জ নয়, সারা পৃথিবীতে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে তাদের এই কর্মকান্ডে।