আজ রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টার মৌলভীবাজার :-
মৌলভীবাজার শহরতলীর ছালামীটিলা বাসিন্দা বৃটেন প্রবাসী মাফিকুর রাজা ভিডিও কনফারেন্সে সংবাদ সম্মেলনে শাজাহানুর রাজা গংরা গত কয়েক বৎসর যাবৎ বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগ করে ন্যায় বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আইন সংস্থা ও সবার সহযোগীতা চেয়েছেন
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের আহবায়ক বকসি ইকবাল আহমদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সঞ্চালনায় বৃটেন প্রবাসী মাফিকুর রাজার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দদের উপস্থিতিতে তিনি বৃটেন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ছালামিটিলা গ্রামের মৃত হাছন রাজার ছেলে বৃটেন প্রবাসী মোঃ মাফিকুর রাজা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ২০২৫ইং সালে জানুয়ারী মাসে আমার মেয়ের বিবাহের জন্য দেশে আসার দিন ধার্য্য করি। কিন্তু বাড়িতে আসার আগেই শাজানুর রাজা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে। কিছুদিন পূর্বে আমার বাড়ীর কেয়ার-টেকার মিন্টুকে রাতের অন্ধকারে শাজানুর রাজার লোকজন মারপিট, ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দেয়। থানায় অভিযোগ দিলেও কোন কাজে আসে নাই। আমার নামে একটা ট্রাক গাড়ী রয়েছে। আমার বোন কাজল বেগমের বরাবর দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়া আসি। সে জাল-কাগজপত্র তৈরী করে বিভিন্ন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও পুলিশ দিয়ে একের পর এক হয়রানি করে চলেছে। শুধু তাই নয়, আমি ও আমার স্ত্রীর নামে কতেক ভূমি সে কাগজপত্র ছাড়া তার নামে রেকর্ড করে নিয়ে যায়। পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে গত দুই/তিন দিন পূর্বে পুলিশ পরিচয়ে মোঠোফোনে ফোন দিয়ে বলেন, মনসুর নামের কোন মানুষ আমার চাচাত ভাই কি না, সে অপহরণ হয়েছে। শাজানুর রাজা যুক্তরাজ্য থেকে আমার উপর মামলা করেছে। আমি তখন বলি যে আমার কোন ভাই নয়; আর আমি মনসুরকে চিনি না। পরে আমার সাথে যারা যোগাযোগ করে তাহাদের শাজানুর রাজা হুকুমের কর্ণধার তাহার ভায়রা তাজুল মিয়া (৫০), পিতা: এলাইছ মিয়া, গ্রাম; ছালামিটিলা। এটা শাজানুর রাজার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ, আমি যাহাতে বাড়ীতে আসতে না পারি। পরে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি কথিত মনসুর ড্রাগ গ্রহণকারী ও বিভিন্ন ড্রাগের মামলা চুরি-ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। সে তার বাড়ীতে থাকে না, তার বাড়ি বলিয়ারভাগ। তার বাড়ির লোকজন তাহাকে বাড়ী হইতে বাহির করে দিয়েছে। সে বর্তমানে সৈয়ারপুর বায়তুল আমান জামে মসজিদের উত্তর পাশের বিল্ডিং-এ থাকে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় আমার বাড়ীতে প্রতিনিয়ত অপরিচিত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক আসা-যাওয়া করে এবং রাত্রিযাপন করে মদ, নেশা গ্রহণ করে।
তিনি আরো বলেন, শাজাহানুর রাজা গত কয়েক বৎসর যাবত আমার সাথে অত্যান্ত খারাপ আচরণ করে চলেছে। ২০২২ইং সালে আমি দেশে আসার পর আমাদের পৈতৃক বাড়ীতে উঠি ও ভাইদের মধ্যে সীম-সীমানা ঠিক করে বসত ঘরের সংস্কার কাজ করাই। এই নিয়ে দেশে এবং বিদেশে কিছু বিষয় নিয়ে তার সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়। আমি দেশ থেকে আসার পরে শাজাহানুর রাজা আমার বাড়ীতে ভাংচুর করে ও সমস্ত দেওয়াল আসবাবপত্র ভাংচুর করে। আমি থানায় মামলা দিলে সে সাবেক হুইপ আব্দুস শহিদ, নৌলভীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, ইলিয়াছ উদ্দিন মোল্লা এমপি, মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর-৩ আসনের এমপি জিলুর রহমান এদের সহযোগিতায় আমার সমস্ত মামলা নষ্ট করে দেয়। তার বিভিন্ন ছবি ফেইসবুক পোস্ট আপনাদের কাছে দিলাম। শাজাহানুর রাজা ও তার স্ত্রী রোকশানা রজা যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাথে সখ্যতায় ব্রিটিশ এমপি শেখ রেহেনার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী সদ্য বিদায়ী হাইকমিশনার সাবেক হাইকমিশনার সাদিয়া মোনা তাসলিম সহ যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের হেবীওয়েট নেতাদের এবং বাংলাদেশ অনেক প্রভাবশালীর সংস্পর্শে থাকায় সে অনেক বেপরোয়া হয়ে উঠে।
মাফিকুর রাজা বলেন, সে বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমির যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি হিসাবে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাদের সাথে দহরম-মহরম থাকায় দেশের সাধারণ মানুষকে মানুষ হিসাবে গণ্য করিত না। স্থানীয় শ্যামেরকোনা বাজারে আমার ভগ্নিপতির ৩ (তিন) কোটি টাকার সম্পত্তি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জোর দখল করে। ভগ্নিপতির পক্ষে মামলা করিয়া রায় পাওয়ার পরও তাহার লোকজনকে বেআইনী দখল থেকে সরাতে পারতেছে না।