আজ শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

Logo
News Headline :
আপন চাচাতো ভাই গং কতৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

আপন চাচাতো ভাই গং কতৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি মৌলভীবাজার 

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আপন চাচাতো ভাই গং কর্তৃক কাগজাত জালিয়াতের মাধ্যমে মৌরশী জমি আত্বসাৎ ও জবরদখল এবং প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার( ২৮ জানুয়ারি) সকালে জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের বড়ধামাই গ্রামের মৃত আব্দুল বারির পুত্র রুবেল আহমদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- আমার দাদা মরহুম উছমান আলীর তিন সন্তান আব্দুল গণি, আব্দুল লতিফ ও আব্দুল বারি। উছমান আলীর নামে বড়ধামাই মৌজায় ৭.৩৮ একর ভূমি, শিলঘাট টি স্টেট মৌজায় ১৪.১৭ একর ভূমি রয়েছে। উত্তরাধীকার সূত্রে আব্দুল গণি, আব্দুল লতিফ ও আব্দুল বারি উক্ত ভূমির অংশীদার। তাছাড়া শিলঘাট টি স্টেট মৌজায় উক্ত তিন ভাইয়ের নামে ২০.২৭ একর ভূমি ক্রয় করা। আমার বাবা আব্দুল বারি উল্লেখিত ভূমির ৩ ভাগের এক অংশের মালিক।
আর.এস জরিপ চলা কালে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে বাক ও স্মৃতি শক্তিহীন ছিলেন। আমি তখন ছোট, জমি দসংক্রান্ত আমার কোনো ধারণা ছিল না। সে সুযোগে চাচাতো ভাই আব্দুল মতিন ও আব্দুল হাই আমার মা ও বোনদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমির সকল কাগজপত্র জোর করে নিয়ে নেন। পরবর্তীতে রেকর্ড মুলে জানতে পারি দুই মৌজায় মাত্র ৫.৩৯ একর ভূমি আমার বাবা আব্দুল বারির নামে রেকর্ড হয়েছে।বাবার হিস্যার বাকী প্রায় ৯ একর জমি আমার চাচা আব্দুল গণি ও আব্দুল লতিফ-এর উত্তরাধীকারগণের নামে রেকর্ড হয়েছে। সমুদয় ভূমির কোনো বাটোয়ারা নামা ও সীমানা নির্ধারণ না হলেও আব্দুল মতিন ও আব্দুল হাই সুবিধার জায়গা সমুহ বলপূর্বক দখলে নেবার চেষ্টা করছেন। উক্ত খতিয়ানে ( বড়ধামাই মৌজা) আং গনির অংশ তিনি
মৌখিকভাবে আং লতিফ ও আং বারীর নামে হস্তান্তর ও সমানভাবে বন্টন করে দিয়েছেন,এবং বিনিময়ে তিনি অন্য মৌজা ধামাই টি এষ্টেট হতে তার হিস্যার ভূমি গ্রহণ করেন।আর এস ৬৬১ দাগটি আং বারীর বাড়ী হতে প্রায় ২ কিমিঃ দুরের ভূমি হতে ৩৩ শতক ভুমি দিয়ে যোগাযোগী মুলে করা হয়েছে যা কোনো বাড়ী নয়, ইহা মূলত টিলা পতিত ভূমি।
আব্দুল মতিন, আব্দুল হাই ও তার ছেলে আবু সুফিয়ান বিভিন্ন সময়ে আমাদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। ইতিপূর্বে আমার বাড়ির গাছ-বাঁশ কাটতে আসলে আমি বাধা দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা করে। ইতিমধ্যে এর প্রতিকার, মৌরশী ভূমির সমবন্টন ও নিরাপত্তা চেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এসিল্যান্ড ও ওসি বরাবরে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।

আমি সম্পত্তির সমবন্টনের মাধ্যমে ন্যায্য হিস্যা ও নিরাপত্তা চাই,পরিবার নিয়ে বাঁচতে চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com