আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ অপরাহ্ন

Logo
News Headline :
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিলের পর ঘুষের ১৯ হাজার টাকা ফেরত দিলেন এসআই সাইফুল ইসলাম চরভদ্রাসন উপজেলা  গাজীরটেকে গাছ কাঁটাকে কেন্দ্র করে  বিরধে গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন ওশীলতাহানী তজুমদ্দিনে শিশু শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার বদলগাছীতে বিয়ে কিশোরীর ছাড়াই সন্তান প্রসব এলাকায় তোলপাড়, পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণ। ববি ছাত্রলীগ নেতা আবিদ মাদকসহ গ্রেফতার, পাঁচ দিনের কারাদণ্ড বরিশাল প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে ববি প্রেস ক্লাবের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বাজিতপুরে মামলা তুলে আনার জন্য বাদীকে হুমকির অভিযোগ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান :- ধর্ম মন্ত্রণালয় জোর করে নারীকে বোরকা পরাবো না: জামায়াতে আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গর্তে পোড়ানো হচ্ছিল নারীর মাথাবিহীন মরদেহ
পাইকারি বাজারে দাম কমলেও প্রভাব পড়েনি খুচরায়

পাইকারি বাজারে দাম কমলেও প্রভাব পড়েনি খুচরায়

বানিজ্য ডেস্ক :-

ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসায় পাইকারিতে ২-৩ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। তবে তেমন প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের আড়ত ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।

অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রফতানির ওপর বেঁধে দেয়া ন্যূনতম শুল্ক প্রত্যাহার করেছে ভারত। এ সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধের শর্ত আর থাকলো না। একইসঙ্গে কমানো হয়েছে রফতানি শুল্কও। গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা।

সেমসয় ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পেঁয়াজের ন্যূনতম এ মূল্য দ্রুত কার্যকর করা হবে। এ মূল্য নির্ধারণের ফলে ভারত থেকে বাংলাদেশসহ যেসব দেশ পেঁয়াজ আমদানি করে, তারা অনেকটাই সুবিধা পাবে। ৪০ শতাংশ রফতানি-শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে দেশটি। প্রতি টন পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে এতদিন সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলার মূল্যের যে শর্ত ছিল, সেটিও দেশটির সরকার প্রত্যাহার করেছে।

এদিকে ভারতের এ শুল্ক প্রত্যাহারের পর দেশের বাজারে আসতে শুরু করেছে ভারতীয় পেঁয়াজ। যার প্রভাবে পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে দাম। বর্তমানে বাজারে পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ১০২-১০৪ টাকা, পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৯০-৯২ টাকা ও জাতভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০২-১০৫ টাকা পর্যন্ত।

পাইকার ও আড়তদাররা বলছেন, বাজারে ভারতের পেঁয়াজ বাড়ছে। এতে চাপ কমছে অন্যান্য পেঁয়াজের ওপর। যার ফলে পাইকারিতে দাম কমতে শুরু করেছে।

তবে পাইকারিতে কমলেও এর খুব একটা প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। হাতেগোণা দুয়েকটি দোকানে ৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমলেও বেশিরভাগ দোকানে এখনও বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।

বাজারে জাতভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। এছাড়া পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৯৫-১০০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজের জন্য গুনতে হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা পর্যন্ত।

ক্রেতারা বলছেন, ভারত যখন পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে, তখন ঘোষণা আসতে না আসতেই দেশের বাজারে দাম বেড়ে যায়। অথচ রফতানি করলে দাম কমে না সহজে। নাফিস নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরও বাজারে দাম কমেনি বিন্দুমাত্র। এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।

আর খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে মাত্র আসতে শুরু করেছে ভারতীয় পেঁয়াজ। তবে চাহিদা তেমন একটা নেই। মানুষ দেশি পেঁয়াজের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। তাই দামে এখনও তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। তবে সামনে দাম কমবে।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com