আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

Logo
News Headline :
অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার নারীর সঙ্গে ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল দল হিসেবে আওয়ামীলীগ মৃত্যু বরণ করেছে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে এম নাসের রহমান ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে নারী শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্তের অভিযোগে এক যুবক আটক পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কোস্টগার্ড সদস্যের উপর হামলায় বিএন পির নেতা সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা। তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে স্বাধীনতার সুফল ….  কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বিএনপি কর্মীর নাশকতা মামলায় ছাত্রদল নেতা কারাগারে  খুবির খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা হলের ইফতার মাহফিল বরিশালে তরমুজের পাইকার বাজারের দরের প্রভাব পড়বে ভোক্তা পর্যায়ে বড়লেখার পাশবিক নির্যাতনের শিকার  শিশুটির পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন বিএনপির এম নাসের রহমান
বরিশালে তরমুজের পাইকার বাজারের দরের প্রভাব পড়বে ভোক্তা পর্যায়ে

বরিশালে তরমুজের পাইকার বাজারের দরের প্রভাব পড়বে ভোক্তা পর্যায়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রসালো ফল তরমুজে সয়লাব বরিশালের পাইকার বাজার। চাহিদা থাকায় বাজারে তরমুজের আমদানিও হচ্ছে যথাযথ প্রতিনিয়ত।

আর গত কয়েকদিন ধরে বাজারদর ভালো পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কৃষক ও আড়তদাররা। যদিও পাইকার পর্যায়ে দর বেশি হলে ভোক্তা পর্যায়ে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পাইকারি ক্রেতারা।

বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ও পাইকার ব্যবসায়ী মো. সোহেল শেখ বলেন, বৃহত্তর খুলনাতেও তরমুজের আবাদ হয়, তবে আমাদের ওখানকার থেকে বরিশাল অঞ্চলে আগাম তরমুজ বাজারে এসেছে। তাই খুলনা ও বাগেরহাটে তরমুজ বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে বরিশাল শহরের পোর্টরোডের পাইকার বাজারে এসেছি।

কিন্তু এখানে পাইকার বাজারে তরমুজের দাম অনেক বেশি। তিনি বলেন, ৫-৭ কেজির তরমুজ যদি প্রতি ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা কেজি দরে কিনতে হয়, তাহলে শ্রমিক ও পরিবহন খরচা দিয়ে খুলনা নিয়ে কত টাকায় বিক্রি করবো সেটাই বুঝতে পারছি না।

অপর পাইকার ক্রেতা বাবুল মোল্লা বলেন, মাঝারি আকারের একটি তরমুজ যদি বরিশালের পাইকার বাজার থেকে ২শ থেকে ২২০ টাকায় কিনতে হয়, তাহলে সেটা কিনে খুলনা বা বাগেরহাট পর্যন্ত নিতেই ৩শ টাকায় গিয়ে ঠেকবে। তারপর আমরা কত টাকায় বিক্রি করবো। আর খুচরো ব্যবসায়ী কত টাকায় বিক্রি করবেন। এরকম হলে ভোক্তারা তো তরমুজ কিনেই খেতে চাইবে না।

বরিশাল নগরের পোর্টরোডের আড়তদার হাসান মাহমুদ বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকের থেকে এখন তরমুজের বাজারদর ভালো যাচ্ছে, তার মানে এই নয় দাম চড়া। দাম অনেক কম রয়েছে। আকার ভেদে শত প্রতি তরমুজের দর ১৪ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। তরমুজের মান যত ভালো এবং আকারে যত বড় তত দাম বেশি।

আর এই তরমুজগুলো এখান থেকে পিস হিসেবে কিনে কেজি হিসেবে বিক্রি করছে খুচরো বিক্রেতারা। আর কেজি হিসেবে বিক্রির কারণেই তরমুজের দর ভোক্তা পর্যায়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাইকার বাজারে ৫-১০ টাকার দর বৃদ্ধি খুচরো বাজারে কোনো প্রভাব ফেলে না, শুধু কৃষকের ভাগ্য ফেরায়।

তিনি বলেন, বাজারে বরিশাল বিভাগের সব জায়গার তরমুজ পাওয়া গেলেও এখন সব থেকে বেশি তরমুজ আসছে পটুয়াখালী ও ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে।

এক সময়ে উত্তরাঞ্চল থেকে আনা হলেও এখন দক্ষিণাঞ্চল তথা গোটা বরিশাল বিভাগের উৎপাদিত তরমুজ ছড়িয়ে যাচ্ছে গোটা দেশে।

কৃষক নিপু সর্দার বলেন, বরিশালের উপকূলীয় জেলাগুলো তরমুজ চাষের জন্য উত্তম। উৎপাদন ভালো হওয়ায় বছরে বছরে তরমুজ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও প্রাকৃতিক বিভিন্ন বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করে তরমুজ চাষ করতে হয়, তারপরও বাজারদর ভালো থাকলে চিন্তা থাকে না কৃষকদের।

তিনি বলেন, রমজানের আগেও বাজারে তরমুজের দর কম ছিল। এখন কিছুটা ভালো দর পাওয়া যাচ্ছে, আশা করি লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এবারে ৪৮ হাজার ৩৪৪ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও আবাদ হয়েছে ৮৯ হাজার ৯১৪ হেক্টর জমিতে। যা শতকরা হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি তিন ভাগ বেশি।

আর বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পটুয়াখালী জেলায় ২৭ হাজার ৮৯ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে এবং সব থেকে কম ঝালকাঠি জেলায় ১১৯ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com