আজ রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলায় সামাজিক বনায়নে রোপিত সড়কের পাশের দশ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো.মাসুদ নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাদ্রা-আরামকাঠি সড়কের পাশের চর এলাকা থেকে গত দুদিন ধরে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। সরকারি গাছ কাটতে দেখে স্থানীয়রা বাধা দিলেও তা উপেক্ষা করে গাছগুলো কেটে নিচ্ছে মো. মাসুদ হোসেন। স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা বন বিভাগ অফিসে বিষয়টি করলেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিজান সিকদার অভিযোগ করেন, আরামকাঠি ৮নং ওয়ার্ডের আরামকাঠি মাদ্রা সড়কের সড়কের পাশে বন বিভাগের লাগানো অনেক রেইনট্রি, বেলশিশু গাছ রয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ আমল থেকে স্থানীয় মাসুদ হোসেন সব বেলশিশু গাছ সহ বেশ কয়েকটি রেইনট্রি গাছ কেটে নিয়েছে। তখনও স্থানীয় বন বিভাগ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। নতুন করে সেই মাসুদ হোসেন পূনরায় রাস্তার পাশের পাঁচটি রেইনট্রি গাছ কাটার খবর পেলে আমরা নিষেধ করি। কিন্তু মাসুদ হোসেন হুমকি দিচ্ছেন।
একই অভিযোগ করে স্থানীয় মো. সানি নামে অপর এক যুবক বলেন, গত দুই তিন ধরে মাসুদ হোসেন সড়কের গাছগুলো কেটে নিচ্ছে। আমরা বাঁধা দিলে তিনি তা উপেক্ষা করে নিজের মতো করে গাছ কাটা চলমান রেখেছে। আমরা উপজেলা বন অফিসে জানালেও অজ্ঞাত কারনে তারা আসছেনা।
সরকারি গাছ কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মো: মাসুদ মিয়া বলেন, আমি ওইখানে জায়গা কিনেছি। গাছগুলো আমার জমির সড়কের পাশে। স্থানীয় জলিল নামে এক লোক গাছগুলো রোপন করেছিল। তাকে কিছু টাকা দিয়েছি। তিনি দাবি করেন ওই গাছ সরকারি নয়।
নেছারাবাদ উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দীন-কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, সরকারি ছুটি থাকায় ব্যক্তিগত কারণে আমি একটু বাহিরে আছি। অফিসের অফিস সহকারি মো. সেলিমকে পাঠাচ্ছি বিষয়টি জানতে। পরে অফিস সহকারী মো. সেলিমকে ফোন দিলে তিনি বলেন, স্যার (মো. সালাউদ্দিন) না আসলে আমি যেতে পারবো না।