আজ রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

Logo
News Headline :
সাংবাদিক কন্যার ধর্ষক ও খুনি ছগিরের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন স্কুল ছাত্রী অপহরণ করে বিয়ের অভিযোগে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা  লংগদুতে মার্কেন্টাইল এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের আর্থিক স্বাক্ষরতা কর্মসূচী।  বদলগাছীতে মেসার্স এস এফ ব্রিকস্ ইটভাটা ভেঙ্গে-গুড়িয়ে দিল প্রশাসন ! ভূরুঙ্গামারী উপজেলায়  সব সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে  অবৈধ যানবাহন  জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৬ জন গুরুতর জখম  ভোলার মনপুরায় অসহায় মানুষের পাশে ছাত্র কল্যাণ সংগঠন  ভুরুঙ্গামারী দিয়াডাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় অস্ত্রের চালান আটক বোয়ালমারীতে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা জমির মালিকানা দাবি করে আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে মন্দির ও ঘর ভাঙচুর
ধর্ষণ মামলার বাদীকে হত্যা, ৪ দিনেও শনাক্ত হয়নি খুনিরা

ধর্ষণ মামলার বাদীকে হত্যা, ৪ দিনেও শনাক্ত হয়নি খুনিরা

মো :-হাবিবুর রহমান 

বরগুনা প্রতিনিধি :- 

বরগুনায় ধর্ষণ মামলার বাদী মন্টু দাস হত্যার চার দিনেও খুনিদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এতে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ মানুষ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, বরগুনা পৌর শহরের মন্টু দাসের সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েকে ২ মার্চ সিজিব রায় ও তাঁর সহযোগীরা অপহরণ করেন। পরে রাতভর সিজিব রায় ধর্ষণ করে বরগুনা ডিসি পার্কের পাশে রেখে যান। এ ঘটনায় মন্টু দাস বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ সিজিব রায়কে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।

গত বুধবার ছিল সিজিব রায়ের জামিনের শুনানি। এর আগের দিন মঙ্গলবার রাতে মন্টু দাসকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরিবারের ধারণা, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সিজিব রায়ের লোকজন মন্টু দাসকে হত্যা করেছেন। নিহত মন্টু দাস ছিলেন তাঁর সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁর সংসারে স্ত্রী শিখা রাণী, মন্টু দাসের বৃদ্ধা মা, দেড় মাসের এক সন্তান ও দুই মেয়েসহ তিনটি সন্তান রয়েছে।

তিন সন্তান ও বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে অসহায় স্ত্রী শিখা রাণী। দেড় মাসের শিশু কিছু না বুঝলেও দুই কন্যাসন্তানের চোখেমুখে বাবা হারানোর শোক। এ ঘটনায় বুধবার নিহত মন্টু দাসের স্ত্রী শিখা রাণী বরগুনা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে হত্যা মামলা করেছেন। কিন্তু ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি। এতে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেছেন।

অপর দিকে হত্যার ঘটনার পরপরই পুলিশ চার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে তিন ব্যক্তিকে অপহরণ ও একজনকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ধর্ষণ মামলার আসামি সিজিব রায়ের বাবা শ্রীরাম রায়, সিজিবের সহযোগী কালু ও রফিকুল ইসলাম।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহত মন্টু দাসের বাড়ি বরগুনার পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহীম খলিল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।

মেয়ে ধর্ষণের শিকার, মামলার ১০ দিনের মাথায় বাবাকে হত্যামেয়ে ধর্ষণের শিকার, মামলার ১০ দিনের মাথায় বাবাকে হত্যা

নিহত ব্যক্তির বোন বলেন, আসামি সিজিব রায় আগে থেকে অপকর্মে জড়িত। এক বছর আগে একটি ঘরে সিঁধ কেটে এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সিজিবের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও

সেবনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি দাবি করেন, ধর্ষণ মামলা করায় সিজিব রায়ের স্বজন ও তাঁর সহযোগীরা তাঁর ভাইকে হরেছে।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে সময় লাগবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হালিম বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com