আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
খেলা ডেস্ক :-
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
রাজধানীর পল্লবী থানায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সাবেক মালিক সারোয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় মাশরাফী ছাড়াও হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, মো. ইমাম হাসান, অজ্ঞাতপরিচয় (রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির এক কর্মকর্তা), কে এম রাসেল, বাবলুসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় বিবাদীর তালিকায় এক নম্বরে মাশরাফীর নাম।
সারোয়ার চৌধুরীর অভিযোগ, মাশরাফী ও তার লোকজন মিলে ২০২৩ সালে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার জোরপূর্বক নিয়ে নেন। বিনিময়ে অর্থ পরিশোধ না করে তাকে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দেন।
মামলার দুই নম্বর আসামি হেলাল বিন ইউসুফের মাধ্যমে মাশরাফীর সঙ্গে সারোয়ারের পরিচয় হয়। মাশরাফী ও হেলালের আহ্বানে বিপিএলে দল কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও ব্যবসায়ী সারোয়ার। এরপর ‘ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিবন্ধন করেন সারোয়ার। ৬০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে যার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বাকি ৪০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন মামলার তিন নম্বর আসামি ইমাম হাসান। যাকে মাশরাফী বন্ধু হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগে জানান সারোয়ার।
২০২২ সালের অক্টোবরে ‘ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি’ বিসিবি থেকে তিন বছরের জন্য সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা পায়। ২০২৩ সালে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে মাশরাফীর নেতৃত্বে দারুণ পারফরম্যান্স করে সিলেট। বিপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার তারা ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
২০২৩ সালের আগস্টে মাশরাফী নিজ কার্যালয়ে ডেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নামের শেয়ারগুলো অন্যদের নামে লেখিয়ে নেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ী সারোয়ার।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগকারীকে ভয় দেখানোর জন্য ১০ থেকে ১৫ জন যুবক এনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাশরাফীও। হেলাল বিন ইউসুফ তাকে অস্ত্রের মাধ্যমে ভয় দেখান। পরিবারকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তার থেকে শেয়ার হস্তান্তর করিয়ে নেন। প্রাণভয়ে সেসময় দেশ ছেড়ে চলে যান সারোয়ার।
এরআগে পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফীর নামে নড়াইলে একটি মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলা, গুলি ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। সেখানে মাশরাফী ছাড়াও বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ আওয়ামী লীগের ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করা হয় ৪০০-৫০০ জনকে।