আজ শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
আওয়ার ডেইলি বাংলাদেশ ডেস্ক;-
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বুড়িগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ দখল করে গরুর হাট বসান বর্তমান বুড়িগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এরপর থেকে প্রতি সোম ও শুক্রবার মাঠটিতে বেচাকেনা হচ্ছে গরু-ছাগল। বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে হাটের কার্যক্রম।
ঐ স্কুলে গেলে নবম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী জানান, স্কুল চলাকালীন হাটের মাইক বাজে। উচ্চ আওয়াজের কারণে আমাদের ক্লাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাসেল রহমান বলেন, এসব বিষয়ে শিক্ষকদের বলেও কোনো প্রতিকার পাইনি আমরা। এত বড় মাঠ থাকতেও আমরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত।
বুড়িগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, হাটের পুরো অংশই বিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গায়। গরুর হাট বসার কারণে পাঠদানে সমস্যা হলেও স্থানীয় নানা কারণে আমরা বাধা দিতে পারছি না।
ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি, হাটের আয়োজক ও বুড়িগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, আমি হাট বসানোর কেউ না। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এখানে হাট বসিয়েছেন৷ তবে ৪৩ বছর যাবত এখানে হাট বসে। মাঝখানে ২-৩ বছর বন্ধ ছিল। একসময় হাটের টাকা দিয়েই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
শিবগঞ্জ উপজেলার ইউএনও তাহমিনা আক্তার জানান, বুড়িগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাটের কথা আমার জানা নেই। তবে কোনো স্কুলের মাঠে হাট বসানো যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে শিগগিরই পরিপত্র জারি করব ও হাট বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।