আজ শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে গেটের টাকা কম দেওয়া নিয়ে দু’পক্ষের তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ ও বরসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার বিকেলে স্থানীয়রা গুরুতর আহত বর মনির হোসেনসহ দু’পক্ষের ১৪ জনকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত অন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, একইদিন দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়ার হালট এলাকার নূরে আলমের বাড়িতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ দিন আগে দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়ার হালট এলাকার নুরে আলমের মেয়ে লিমা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নাসির উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেনের ২ লাখ টাকা দেনমোহরে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রোববার দুপুরে ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে কনে লিমা বেগমের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠানে বউ আনতে যান বর মনির হোসেনসহ তার পরিবারের লোকজন। এ সময় বিয়ে বাড়ির গেটের টাকা কম দেওয়া নিয়ে কনেপক্ষের সঙ্গে বর পক্ষের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে বর ও কনেপক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত বর মনির হোসেন বলেন, রোববার আমার স্ত্রীকে আনতে আমিসহ পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা মিলে শ্বশুর বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে বাড়িতে ঢুকার পথে গেটে কনেপক্ষের লোকজন ফিতা ধরে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি তখন ৩ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও কনেপক্ষের লোকজন আমাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেননি। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। যার ফলে কনের বাড়ির লোকজন আমার সঙ্গে থাকা স্বজনদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন। আমি সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করলে আমাকেও পিটিয়ে হাত ভেঙে দেন। এই ঘটনায় আমিসহ আমার ২০ জন স্বজন আহত হয়েছেন।
অপরদিকে কনের বাবা নূরে আলম বলেন, গেটে নতুন বরকে নিয়ে সবাই আনন্দ করছিলেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বরপক্ষের লোকজন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আমার পরিবারেরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হোসেন রাসেল বলেন, বিয়ে বাড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।