আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ন

Logo
News Headline :
মাদ্রাসার সরকারি বই বিক্রির সময় স্থানীয়দের হাতে জব্দ  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মঠবাড়িয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের যত্ন বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল শেখ হাসিনার দেশত্যাগ: রুমিন ফারহানা ১ মে ঢাকায় বিএনপির ‘বিশাল’ সমাবেশ তাফসির মাহফিল নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ : ভান্ডারিয়া পৌর বিএনপির আহবায়কের পদ স্থগিত পিরোজপুরে একরাতে সিঁধ কেটে ৫ বাড়িতে চুরি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেওয়ায় ৭ শিক্ষার্থীকে আটক পবিপ্রবি-তে দূর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি সম্পর্কিত যুব নেতৃত্বে সহযোগিতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
বাউফলে আঞ্চলিক মহাসড়ক চতুর্থ দফায় ধস

বাউফলে আঞ্চলিক মহাসড়ক চতুর্থ দফায় ধস

ডেস্ক নিউজ :-

কবে শেষ হবে এই সড়কে ভোগান্তির? এবারে সংস্কারের দুই সপ্তাহের মধ্যেই ৪র্থ দফায় ধসে পড়লো পটুয়াখালীর বাউফলের আলগী নদী পাড়ের সেই আঞ্চলিক মহাসড়ক। গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে উপজেলা সদর থেকে বানিজ্যিক এলাকা কালিশুরি পর্যন্ত এই সড়কের পুননির্মাণ কাজ শেষ হয়।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সড়কটি নির্মাণ কাজে দুইদফায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো ১০০ কোটি টাকা পুননির্মাণের আগেও আলগী নদীর পারের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের গাজীমাঝি এলাকায় ২০০ মিটার অংশে ধস হয়েছে। পুননির্মাণের ৯ মাসের ব্যবধানে অক্টোবরেই সেই স্থান দ্বিতীয় দফায় ধসে যায়। তখন যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পরে ধসে যাওয়া স্থানে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সড়ক বিভাগ। কিন্তু সংস্কারের মাস না পেড়োতেই তৃতীয় দফায় একই স্থান ধসে পড়েছিলো।

তৃতীয় দফার সংস্কারের কাজ ও বেশিদিন স্থায়ী না হওয়ায় আবার শুরু হয় চতুর্থ দফার সংস্কারের কাজ। পরবর্তীতে চতুর্থ দফায় সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারো ধসে যায় সেই স্থান ।

বানিজ্যিক কাজে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে  মালামাল নিয়ে ভাড়ি ট্রাক ও পিকাপ এই সড়ক দিয়ে কালিশুরি চলাচল করে। এছাড়াও বাকেরগঞ্জ হয়ে বরিশাল জেলা শহরেও যাতায়াত করতে পথটি ব্যবহার করে বহু মানুষ। প্রতিদিন এই সড়কে ছোট বড় সহস্রাধিক যাত্রীবাহি যানবাহন চলাচল করে। সড়কের এই সরু স্থানে ব্যহত হয় চলাচল, থাকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাকৃতিক ভাবেই এখানে আলগী নদীর জোয়ার ভাটার স্রোত নদীর এই স্থানে  আঘাত করে৷ এখানেই নদীর সবথেকে বড় বাক৷ প্রথম থেকেই সার্ভে করে, প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করেনি সড়ক বিভাগ। কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগও করেছেন তারা।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নবাগত নির্বাহী প্রকৌশলী জামিল আক্তার বলেন, ‘স্থানীয়রা না বুঝে নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ করেন। আমরা চেষ্টা করেছি সড়কটি সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার৷ সড়ক রক্ষায় কিছু জিও ব্যাগও ফেলা হয়েছে। নদী শাসন করে স্থায়ী কাজ করতে হবে। তাছাড়া এই স্থানের সড়ক রক্ষা করা সম্ভব না।’ তিনি বলেন, সড়কের পুননির্মাণ কাজের সময় আমি অন্য কর্মস্থলে ছিলাম। তাই  তখনকার সার্ভে রিপোর্ট সম্পর্কে আমার জানা নেই। এবারে সময় নিয়ে টেকনিক্যাল টিমের মাধ্যমে পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে আলগী নদী পাড়ের সড়কের সংস্কার কাজ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।’

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com