আজ শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
আওয়ার ডেইলি বাংলাদেশ ডেস্ক –
শিক্ষার্থীদের এক পক্ষের বাধার মুখে বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ‘ছাত্র-নাগরিকের মতবিনিময় সভা’ করতে পারেননি কেন্দ্রের সমন্বয়ক মাহিন সরকারসহ তার দল।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে তারা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বগুড়া সরকারি আজিজুল কলেজে গেলে শিক্ষার্থীদের এক পক্ষের তোপের মুখে পড়েন। পরে তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা অনুষ্ঠান না করেই কলেজ ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে আগে থেকেই কলেজে অবস্থান নিয়েছিলো শিক্ষার্থীদের এক পক্ষ। পরে বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও তার দলসহ বগুড়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া সাধারণ ব্যানারে থাকা আরেক পক্ষ কলেজে প্রবেশ করলে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। আগে থেকে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এরপর তারা কলেজ অধ্যক্ষের ভবনে আশ্রয় নেন। এ সময় অন্য পক্ষের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও তার দলকে নিয়ে এবং বগুড়ার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে থাকা আরেক পক্ষকে নিয়ে ভুয়া ভুয়াসহ বিভিন্ন ধরণের শ্লোগান দেন। এ সময় সেনাবাহিনী তাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ৬টার দিকে তারা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে চলে যায়। এ সময় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল।
মাহিন সরকার ও তার দলের বিরোধীতা করা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ছিলেন সাকলাইন সাদিক। তিনি বলেন,
ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কবৃন্দ আসছেন এবং কলেজে তাদের অনুষ্ঠান রয়েছে সেটা আমরা শিক্ষার্থীরা কেউ জানতাম না। তারা এখানে তাদের মতো করে একটি পকেট কমিটি দিয়ে যাবে এটা আমরা মানবো না। তাদেরকে অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না। অনুষ্ঠান করতে হলে এখানে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আসতে হবে।
এদিকে মাহিন সরকারদের সাথে সমন্বয়কারীদের একজন নিয়তি সরকার নিতু বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের কথা এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়কবৃন্দ আসছেন এটা সবাইকে জানানো হয়েছিল।
এর আগে সকাল ৯টায় বগুড়া নামাজগড় আঞ্জুমান ই গোরস্থানে মাহিন সরকার ও তার দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের কবর জিয়ারত করেন। পরে বেলা ১১টায় শহীদ ও আহত পরিবারবর্গের সাথে মতবিনিময় করেন তারা।