আজ বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

Logo
News Headline :
মাদ্রাসার সরকারি বই বিক্রির সময় স্থানীয়দের হাতে জব্দ  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মঠবাড়িয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের যত্ন বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল শেখ হাসিনার দেশত্যাগ: রুমিন ফারহানা ১ মে ঢাকায় বিএনপির ‘বিশাল’ সমাবেশ তাফসির মাহফিল নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ : ভান্ডারিয়া পৌর বিএনপির আহবায়কের পদ স্থগিত পিরোজপুরে একরাতে সিঁধ কেটে ৫ বাড়িতে চুরি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেওয়ায় ৭ শিক্ষার্থীকে আটক পবিপ্রবি-তে দূর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি সম্পর্কিত যুব নেতৃত্বে সহযোগিতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
ছাত্রাবাস পেয়ে খুশি বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা

ছাত্রাবাস পেয়ে খুশি বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক নিউজ :-

দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্রবাসে উঠতে পেরে খুশি বরিশাল সরকারী ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের অশ্বিনী কুমার হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। পলেস্তারা খসে পড়াসহ জরাজীর্ন হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়া ছাত্রাবাসটি সংস্কার ও মেরামতের মাধ্যমে ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। গত ৫ আগষ্টের পর শিক্ষার্থীরা ছাত্রবাসে উঠেছে।

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম জানান, বিএম কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ১৯৬৮ সালে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসটি (এ ও বি ব্লক) নির্মাণ করা হয়।

ছাত্রাবাসের দুইটি ব্লকে চারশ’ মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা বসবাস করে পড়াশুনা করে। ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর তিন তলা বিশিষ্ট বি ব্লকের ভবনের একটি কক্ষের পলেস্তারা খসে পড়ে। খবর পেয়ে তিনি পরিদর্শনে গেলে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। শিক্ষার্থীরা নতুন ভবন নির্মানের দাবি করেন।

তাদের সাথে সমঝোতা করে ভবনটি পরিদর্শন করেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নির্দেশনা অনুযায়ী ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্ধ এনে ভবনটি সংস্কার ও মেরামতের কাজ শুরু করা হয়। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করা হয়েছে। এতে ভবনটির আয়ুস্কাল আরো ৫০ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে।

বসবাসের অনুপযোগি ভবনটি সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগি হওয়ায় দেশের অর্থ ব্যয় হয়নি। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্রবাসে থাকার সুযোগ পেয়েছে।

ওই ছাত্রবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী ফেরদৌস হাসান শাওন বলেন, ছাত্রাবাসটি ব্যবহার অনুপযোগি হওয়ার পর গত এক বছর ধরে পাশের একটি মসজিদ ও ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের থাকতে হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বাসা ও মেসে থেকেছে শিক্ষার্থীরা। এতে তারা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।

পরিবেশ এখন অনেক সুন্দর হয়েছে। তাই আবাসিক শিক্ষার্থীরা খুশি।

ছাত্রবাসের তত্ত্বাবধায়ক বাংলা বিভাগের শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অশি^নী কুমার ছাত্রাবাসটি ১৯৬৮ সালে নির্মিত। ভবনটির বিভিন্নস্থানে ভেঙ্গে পড়ার পরও মজবুত মনে হয়েছে। তখন প্রকৌশলীদের কাছে মেরামত করা যায় কিনা প্রস্তাব দেয়া হয়। তারা সেই প্রস্তাবের আলোকে খুব সুন্দর করে সংস্কার ও মেরামত করেছে। এতে এখন ছাত্রাবাস নতুন হয়ে গেছে। আমার বিশ্বাস নতুন করে নির্মাণ করলেও এত মজবুত হতো না। শিক্ষার্থীরাও খুশি হয়েছে। তারা স্বতস্ফুর্তভাবে হলে উঠেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com