আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
নিজেস্ব প্রতিবেদক
পাবনার ঈশ্বরদীতে অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মনোয়ারুল ইসলাম (৫০) নামে বিএনপির এক নেতা। রোববার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সুলভ মালিথার বাড়ি ও হাইওয়ে থানার পাশে মুনশিদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহত মনোয়ারুল দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি এবং নওদাপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। শ্রমিক দল ও যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের একদিন পর গুলির এ ঘটনা ঘটল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনোয়ার দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন প্রামাণিকসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে এসে চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি করে চলে যান। এতে তাঁর পায়ে ও পেটে দু’টি গুলিবিদ্ধ হয়। তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোশাররফ ও টেম্পু চালক আনিসের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামানিক মোশাররফের এবং যুবদলের সদস্যসচিব বিপুল মোল্লা আনিসের পক্ষ নেন। এর জেরে গত শুক্রবার রকু এবং বিপুলের লেকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আগের ঘটনায় রকুর অফিস ভাঙচুর করা হয়। আহত অনেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুক্রবারের সংঘর্ষের জেরে রোববার বিএনপি নেতা মনোয়ারুলকে গুলি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রিপন প্রামাণিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামাণিককে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সুলভ মালিথা বলেন, মনোয়ারুলকে যারা গুলি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব বিপুল মোল্লা বলেন, অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, দুই ঘটনা তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গুলিবিদ্ধ মনোয়ারুলের পক্ষে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।