আজ রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৩ অপরাহ্ন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
ডাঃ তৌহিদুজ্জামান (তৌহিদ মুন্সী)শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জে একজন কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে সমাজসেবক, দানশীল এবং মানবিক ডাক্তার খুবই পরিচিত। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি চরআত্রা ঐতিহ্যবাহী মুন্সী পরিবারে একজন ব্যক্তিত্বের মাঝে আলোকিত মানুষ ।
গরীব দুঃখী মানুষের ডাক্তার খ্যাত, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা দানকারী, কিংবদন্তি মানুষ, সমাজসেবক হিসেবে খুবই পরিচিত ডাঃ তৌহিদুজ্জামান (তৌহিদ মুন্সী)। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা-সাহিত্য- ইসলামি সংস্কৃতি এবং সার্বজনীন জীবনব্যবস্থার প্রচার-প্রসারে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি চরআত্রার প্রথম এমবিবিএস ও ভালো ডাক্তার দয়ালু ও বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তাঁর সামগ্রিক জীবন পর্যালোচনা করলে বলা যায় দায়বদ্ধ সমাজ পরিবর্তনের এক স্বাপ্নিক কারিগর বলা যায়।
তিনি একজন ধর্মপরায়ণ মুসলিম। ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ, সৎ, আন্তরিক, অমায়িক এবং বিনয়ী ব্যক্তি হিসেবে সকলের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র। তাঁর মধ্যে নেই কোনো অহমিকা বা অহংকার বোধ। বরং তিনি সকল স্তরের মানুষকে খুব সহজেই বুকে টেনে নেন। এজন্য সকলের কাছে তাঁর রয়েছে আলাদা ও স্বতন্ত্র গ্রহণযোগ্যতা। ইসলামী দ্বীনের প্রচার-প্রসারে তিনি অত্যন্ত নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিত্ব। বিশেষ করে ইসলামের প্রচার-প্রসারে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
একটি ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ পরিবারের উত্তরাধিকারী। তিনি ১৯৭৫ সালে ২৯ নভেম্বর শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মুন্সী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন চরআত্রা ইউনিয়ন পরিষদের স্বনামধন্য চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুন্সী মেজবাহ্ উদ্দীন আহম্মেদ সাহেব। একজন পরোপকারী ও সমাজ সেবক হিসেবে তার বাবা সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন।
তৌহিদ মুন্সী স্বাস্থ্য সেবায় তাঁর কর্মজীবনে এটাকেই ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি দীর্ঘ দিন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মরত আছেন। তিনি অত্যন্ত যোগ্যতা, দক্ষতা, নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। যা তাঁকে এনে দেয় মানবিক সম্মান এবং মর্যাদা। সকলের কাছে তিনি একজন কর্তব্যপরায়ণ আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
তিনি শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জের গরিবের ও মানবিক ডাক্তার হিসেবে পরিচিত।রোগীদের সাথে অমায়িক ব্যবহার করতেন তিনি। রোগী থেকে শুরু করে রোগীর স্বজনদের সাথেও ছিল তার সুসম্পর্ক। তার নিজস্ব কোন চেম্বার নাই। লোক মুখে অনেক শুনা যায় তিনি যেখানে দাঁড়ান সেই জায়গাই রোগীদের ভিড়ে চেম্বারে পরিনত হয়। প্রতিদিন আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত শিশু রোগী তিনি চেম্বারে আসার আগেই লাইন ধরে বসে থাকতো। তিনি রোগীদের কাছ থেকে কোন ফি বা টাকা নিতেন না। চাহিদা ছিল না ওনার। সেবার মন মানসিকতায় কাজ করতেন তিনি। অনেক সময় রোগীরা চলে যান ডা. সাহেবের বাড়ীতে। সেখানে সকালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
“সরকারী চাকরির বেতন অধিকাংশ টাকাই চলে যায় মানুষের সেবায়।
এত উন্নত চাকচিক্যময় পরিবেশে থেকেও তিনি কখনো ভুলে যান না তার ভিটেমাটির ছায়া। তার অসহায় অবহেলিত চরাঞ্চলের মানুষের কথা। ১৯৯৮ সালে তার মায়ের নামে গড়ে উঠে চরআত্রা সখিনা মুন্সী আদর্শ মহিলা মাদ্রাসা ও আরেকটি প্রতিষ্ঠান চরআত্রা দারুল উলূম হাফিজিয়া নূরানী মাদ্রাসা। দুটি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহযোগীতায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি চরআত্রা আজিজিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি হিসেবে সুনামের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এই মহৎ কাজ সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। তার এই মহৎ গুণের মাধ্যমে সকলের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
ডাক্তার সাহেব নিজে সবসময় মানব সেবায় নিয়োজিত থাকেন। তিনি বিশ্বাস করেন মানব সেবার মাধ্যমেই আলোকিত সমাজ গঠন করা সম্ভব বলে তার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস। তাই তিনি নিজের আয়ের একটি অংশ অসহায় মানুষের জন্য ব্যয় করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। তার পূর্বপুরুষদের ঐতিহের ধারা বেয়ে তিনি এগিয়ে চলেছেন তাঁর লক্ষ্যপানে। বিভিন্ন সময়ে তিনি সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। চরআত্রা সহ তথা নড়িয়া-সখিপুর (শরীয়তপুর-২) সকলের প্রেমে সিক্ত ব্যক্তিত্ব ডাঃ তৌহিদুজ্জামান (তৌহিদ মুন্সী) শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ মানুষ কাছে মানব সেবায় জনপ্রিয়তার শীর্ষ নাম ডাঃ তৌহিদ মুন্সী।