আজ শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
বরিশালের মুলাদীতে ইলিশ রক্ষা অভিযানে হামলার ঘটনায় শতাধিক জেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবুল বাশার বাদী হয়ে মুলাদী থানায় এই মামলা করেন।
গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া মইজদ্দিনের হাট এলাকায় জয়ন্তী নদীতে অভিযানের ট্রলারে হামলা করেছিলেন জেলেরা। ওই সময় জেলেদের স্বজনেরা হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আটক এক জেলেকে ছিনিয়ে নেয় বলে জানান উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে গত শনিবার বেলা ১১টায় আড়িয়াল খাঁ নদীর নাজিপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় এবং রাত ৮টায় জয়ন্তী নদীর গাছুয়া ইউনিয়নের ডুমুরিতলা বাঘাবাড়ী এলাকায় হামলার শিকার হয়েছিলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে ইলিশ রক্ষা অভিযান শুরু হয়। বেলা ১১টা পর্যন্ত অভিযানে জয়ন্তী নদীর চরমালিয়া মইজদ্দিনের হাট এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি কারেন্ট জাল এবং এক জেলেকে আটক করা হয়। বেলা ১১টার দিকে ১৫-২০টি নৌকায় শতাধিক জেলে অভিযানের ট্রলারটি ঘিরে ফেলেন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, জেলেদের হামলা থেকে বাঁচতে অভিযানের ট্রলারটি জয়ন্তী নদীর দক্ষিণ পাড়ে ভেড়ানোর চেষ্টা করলে জেলেদের স্বজনেরা রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালালে প্রশাসনের লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে কর্মকর্তাদের উদ্ধার কো হয়। এ ঘটনায় নাজিরপুর গ্রামের আব্বাস তালুকদার, মিরন চৌকিদারসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, গত সোমবার কারেন্ট জাল জব্দ এবং এক জেলেকে আটক করলে অন্য জেলেরা হামলা চালান। তাঁরা দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আটক জেলেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম জানান, অভিযানের ট্রলারে হামলা ও পুলিশ আহতের ঘটনায় শতাধিক জেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।