আজ রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি
আমতলী সরকারী কলেজ ছাত্রদল সভাপতি ইমন মিয়া বলেন, বাদল খাঁন সন্ত্রাসীদের গডফাদার। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ রক্ষা পায়নি। তার মতের বিরুদ্ধে গেলেও তিনি সাধারণ মানুষকে মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। তার কঠোর শাস্তি দাবী করেন তিনি।
চাওড়া ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব আখতারুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগের ১৬ বছরে ঘরে ঘুমাতে পারিনি। অহেতুক মিথ্যা মামলা দিয়ে বাদল খাঁন হয়রানী করেছেন। তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকবার বাদল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে নির্যাতন করেছে। তার কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, বাদল এতো অন্যায় অত্যাচারের পরেও কিভাবে গত ৮ মাস এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিএনপির কিছু নেতাদের কারনে এমন হয়েছে।
চাওড়া ইউনিয়ন যুবদল সাবেক আহবায়ক মোমেন আকন বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের এক মাস পরে বাদল খানের মামাতো ভাই ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী মাহবুবুল ইসলামের বাহিনী আমাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এগুলোও বাদল খানের মদদেই হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দখল বাজিন্য, টেন্ডার বানিজ্য ও নিয়োগ বানিজ্যসহ সকল অপকর্মের হোতা ছিলেন বাদল খাঁন। বাদল খাঁনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনও নিরব ছিল। তার কঠোর শাস্তি দাবী করেন তিনি।
বরগুনা জেলা সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অ্যাড. গোলাম মোস্তফা কদের বলেন, একাধিক সাংবাদিক নির্যাতন ও লািঁঞ্ছতকারী আখতারুজ্জামান বাদল খানের কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিকরা বাদল খাঁনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে চাইলে বিনা খরচে তাদের পক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, গত বছর ৫ আগষ্ট পৌরসভা কার্যালয় ভাংচুর মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে শুক্রবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।