আজ শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলে গাঁজা সেবনের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পাঁচ শিক্ষার্থী।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলাওল হলের ২৩৪ নম্বর রুম থেকে তাদের আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতে তাদের থেকে গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সাইদ বিন কামাল।
আটক শিক্ষার্থী হলেন-রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. আনোয়ারুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মিজানুর রহমান, দর্শন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মো. টুটুল হাসান ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মো. মানিক।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মোজাম্মেল হক বিভিন্ন হলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আলাওল হলের ২৩৪ নম্বর কক্ষে নিয়মিত গাঁজার আসর বসান।
সরেজমিন দেখা যায়, তার সাথে আরও চারজন শিক্ষার্থী মাদক সেবন করছিলেন। চারজনের পকেটে পাওয়া গেছে মাদকের প্যাকেট।
হলে থাকা এক শিক্ষার্থী জানান, তিনি ২৩৪ নম্বর রুমের পাশে দিয়ে যাওয়ার সময় এক ধরনের দুর্গন্ধ পান। পরে প্রক্টরকে বিষয়টি জানালে দুজন সহকারী প্রক্টর রুমে গিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসকো (ডিসেবল স্টুডেন্ট সোসাইটি অব চিটাগাং ইউনিভার্সিটি) সভাপতি শিহাব উদ্দিন বলেন, যে পাঁচজন অপরাধী ধরা পড়েছে, তাদের দায় আমাদের সংগঠন (ডিসকো) নেবে না। আমাদের সংগঠন সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে তাতে আমাদের সংগঠনের কোনো আপত্তি নেই। তবে আমাদের একটাই দাবি শিক্ষা বা অন্যান্য ক্ষেত্রে এর প্রভাব যেন আমাদের উপর না পড়ে।
সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাদিম হোসেন বলেন, যারা মাদকের সাথে যুক্ত আমরা তাদের ডিসকো থেকে ইতিমধ্যে বহিষ্কার করেছি। সৃষ্টিকর্তা আমাদের কিছু বিষয়ে ডিজেবল করে পাঠিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের সবসময় সহযোগিতা করেছে। আজকে গুটি কয়েকজনের জন্য শিক্ষার্থীরা যেনো আমাদের ভুল না বুঝে। আমরা সবসময় তাদের সহযোগিতা কামনা করি।
সহকারী প্রক্টর সাইদ বিন কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমরা ৫ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে গাঁজা সেবনের সময় ধরেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী হল প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।