আজ শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার, আব্দুস সালাম মোল্লা।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন সরকারি কলেজে আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে “২৬ শে ডিসেম্বর সকাল ১১ ঘটিকায় চরভদ্রাসন সরকারি কলেজ প্রশাসনিক ভবনের সামনে। আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন চরভদ্রাসন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস।চরভদ্রাসন সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক শিক্ষা বিভাগ এবং চরভদ্রাসন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে দাবি তুলে ধরেন।
দাবি ১। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডার বহির্ভূত করার পরিকল্পনা ও উদ্যোগ থেকে সরে আসার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।
দাবি ২। সকল প্রকার কোটা- বৈষম্য তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে সরকারের উপসচিব পদে যোগদান নিশ্চিত করার জন্য তা শতভাগ উন্মুক্ত করে দিতে হবে এবং প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সমান সুযোগ দিতে হবে।
দাবি ৩। মন্ত্রণালয়- সহ ক্যাডার সংশ্লিষ্ট সকল পদে “স্ব “স্ব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন করতে হবে, অর্থাৎ কৃত্য পেশা ভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দাবি ৪। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক পদকে ৩য় গ্রেডে উন্নীত করতে হবে এবং আনুপাতিক হারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ১ম, ২য় ও ৩য় গ্রেডের পদ সৃষ্টি করতে হবে।
দাবি ৫। নিয়মিত রুটিনে বছরে দুইবার সকল স্তরের একই সাথে পদোন্নতি দিতে হবে।
“শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড” এ উক্তিটি অন্তঃ সারশূন্যে পরিণত হচ্ছে ক্যাডার বৈষম্যের কারণে। আরো জানা গেছে, ২৫ টি ক্যাডার উপসচিব পদ মর্যাদায় নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার শিকার হচ্ছে। এতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, ইঞ্জিনিয়ারিং, সহ ২৬ টি “স্ব “স্ব ক্যাডার পলিসি মেকানিক ভিত্তিক দীর্ঘদিন মাঠ পর্যায়ে কাজ করা ক্যাডারদের কে “স্ব-“স্ব ক্যাডারে পদায়ন করা। বৈষম্য শিকার হচ্ছে একমাত্র প্রশাসনিক ক্যাডারের কাছে। যিনি দীর্ঘ সময় ধরে স্বাস্থ্য সেক্টরে কাজ করেছেন। কিন্তু প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের পর বিষয়গুলো শতভাগ অযৌক্তিক এবং বিভ্রান্তিকর সৃষ্টি হচ্ছে ।
একজন কর্মকর্তার ক্যারিয়ার গ্রোথ যেমন ঠিক থাকে, তার বিশেষায়িত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার আলোকে রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণীতে ও তুলনামূলক বেটার আউটপুট পাওয়া যায়। প্রয়োজন সাপেক্ষে অবশ্যই বাইরে থেকে এক্সপার্টাইজ নেওয়া যাবে তবে গণহারে এক ক্যাডারে উপরের পদগুলোতে অন্য ক্যাডার থেকে পদায়ন বন্ধ না হলে একটা সুষ্ঠু জন- কল্যাণমুখী জন প্রশাসনের স্বপ্ন সূদুর পরাহত থেকে যাবে।
জনসাধারণের সেবায় কোটি কোটি টাকার প্রকল্পগুলো প্রত্যাশিত সুফল বয়ে আনবে না বলে শিক্ষানুরাগীরা সহ সেক্টর ভিত্তিক বিসিএস ক্যাডারগন অভিমত ব্যক্ত করেছেন ।
আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্যসমূহ নিরসনে সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টাগন আশু-পদক্ষেপ গ্রহণ করে উন্নয়ন পরিকল্পনার মাইল ফলক সৃষ্টির জোর দাবি জানিয়েছে।