আজ সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
মোঃ মামুন সেখ
জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ৷
কথায় আছে প্রেম মানে না কোন বাধা ৷ বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় বাঙালি পুরুষের প্রেমের টানে পড়ে বিদেশি ললনাদের বাংলাদেশে আগমন ঘটে। কিন্তু এবার ঘটেছে তার উল্টো ঘটনা। প্রেমের টানে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর এসেছে চীনের যুবক চেং নাং৷
আজ সোমবার ০২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বিয়াড়া গ্রামের অন্তরার প্রেমের টানে চলে আসে চীনের যুবক চেং নাং৷ অন্তরা খাতুন একজন ভিভোর্সি মেয়ে হওয়া সত্বেও তাকে গত ২২শে নভেম্বর বিয়ে করেছেন চীনের যুবক চেং নাং৷
অন্তরার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বেশ কয়েক বছর আগে মা বাবার পছন্দ করা ছেলের সাথে আমার বিয়ে হয়৷ সেই ঘরে আমার ৯ বছরের একটি মেয়ে সন্তান ও রয়েছে কিম্তু স্বামীর সাথে সমস্যার হওয়ার কারণে তার সাথে আর আমার সংসার করা হয়নি ৷ তারপর থেকে আমি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি৷ কিন্তু গত ৪ মাস আগে আমি আমার মেয়ে কে নিয়ে গাজীপুরের একটি রেস্টুরেন্টে যায়৷ সেখানে হঠাৎ সেখা হয়ে যায় চেং নাং এর সাথে৷ এসময় চেং নাং আমাকে দেখে পছন্দ করে ফেলে৷ পড়ে আমরা ফোন নাম্বার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি আদান-প্রদান করে থাকি৷
তারপর থেকে আমদের টুকটাক কথা চলতে থাকে৷ এমতাবস্থায় হঠাৎ চেং নাং আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে৷ এরপরে সে অন্য ধর্মের হওয়াই তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি কিন্তু সে মুসলিম হয়েও বিয়ে করতে রাজি৷ তারপরে দুই পরিবারের সম্মতি নিয়ে আমরা গত ২২ তারিখে গাজীপুর কোর্টে গিয়ে হলফনামার মাধ্যমে চেংনাং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং আমাকে বিয়ে করেন৷ বিয়ে সম্পন্ন করে গত শনিবারে নিজ বাড়িতে এসে পৌছায়৷
চেং নাং এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার বাড়ি চীনের হুনান প্রদেশে। অন্তরা কে প্রথম দেখায় আমার অনেক ভালো লেগে যায় । এরপর আমরা দুজন কথাবার্তা বলি। একসাথে অনেক সময় কাটাই। তারপরে আমরা বিয়ে করি ফেলি। চেষ্টা করে যাচ্ছি দ্রুত নিজের স্ত্রী অন্তরা কে নিয়ে নিজ দেশে চলে যাবো।
অন্তরার বাবা জানান, আমি প্রথম অবস্থায় ভেবেছিলাম যে অন্য দেশের ছেলের সাথে আমার মেয়ে মানিয়ে নিতে পারবে কি না কিন্তু পরবর্তিতে তারা তাদেরকে মানিয়ে নিয়েছে এখানে আর আমার কিছু করার নেই৷ আমি বাবা হিসেবে আমার মেয়েকে সম্মতি দিয়েছি৷
অন্তরা আরও জানান, চেং নাং এখনো তার নিজ ভাষা তেই কথা বলে কিন্তু সে বাংলা শেখার চেষ্টা করছে। আর আমিও চায়না ভাষা শেখার চেষ্টা করছি। কিন্তু কথাবার্তা এখনো ট্রান্সলেটের মাধ্যমে আদান প্রদান করতে হয়৷