আজ বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি:-
পটুয়াখালীর বাউফলে দুই দফায় ৬টি গরু উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। গরুগুলোর মালিক এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয়দের ধারণা এগুলা চোরাই গরু। শুক্রবার ও শনিবার দুই দফায় উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরকচুয়া গ্রাম থেকে গরু গুলো উদ্ধার করেন স্থানীয় জনগণ।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে চরকচুয়া গ্রামে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬টি গরু অবস্থান করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয়রা। তবে সেখানে গেলে মাত্র দুটি গরু পাওয়া যায়। ঘটনাটি গ্রাম পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গরু দুইটি উদ্ধারে স্থানীয়দের সহযোগিতা করেন। পরে একই গ্রাম থেকে শবিবার (১০ নভেম্বর) আরো ৪টি গরু উদ্ধার করা হয়৷ গরু গুলো চুরি করে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছিলো বলে ধারণা স্থানীয় জনগণের।
চন্দ্রদ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘চারিদিকে নদী বেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের মানুষের গৃহপালিত পশু নিয়মিত চুরি হওয়ার ঘটনা, দীর্ঘদিন ধরে ঘটে চলেছে। আগেও ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা জাফর আহমেদসহ একাধিক ব্যক্তি চোরাই পশুসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলো। আওয়ামী সরকার পতনের পরে নিজেদের একটু নিরাপদ ভাবতে শুরু করেছে চন্দ্রদ্বীপবাসী। কিন্তু এই ঘটনা নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় দফাদার কবির বলেন, শুক্রবার রাতেব আমাকে রক্ষণাবেক্ষনের জন্য দুটি গরু বুঝিয়ে দেয় স্থানীয়রা। পরে শনিবার রাতে স্থানীয়দের নিয়ে পুলিশ আরও চারটি গরু উদ্ধার করে আমার কাছে রেখে গেছেন। বাউফল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হলে, পুলিশ এসে স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল শিকদারের জিম্মায় গরু গুলো রেখে যায়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য দুলাল সিকদার বলেন, গত শনিবার সকালে বাউফল থানার ইন্সপেক্টর শাহাবুদ্দিন স্যার আমাকে দুটি এবং আজ চারটি চোরাই গরু বুঝিয়ে দেন। গরুর প্রকৃত মালিক না পাওয়ায় গরু গুলোর পরিচর্যা ও দেখাশোনার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘গরুর প্রকৃত মালিকের সন্ধানে অনুসন্ধান চলছে। পশু চুরি সিন্ডিকেটের সদস্যদের চিংহিত করার কাজ করছে পুলিশ।’