আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন

Logo
News Headline :
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিলের পর ঘুষের ১৯ হাজার টাকা ফেরত দিলেন এসআই সাইফুল ইসলাম চরভদ্রাসন উপজেলা  গাজীরটেকে গাছ কাঁটাকে কেন্দ্র করে  বিরধে গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন ওশীলতাহানী তজুমদ্দিনে শিশু শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার বদলগাছীতে বিয়ে কিশোরীর ছাড়াই সন্তান প্রসব এলাকায় তোলপাড়, পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণ। ববি ছাত্রলীগ নেতা আবিদ মাদকসহ গ্রেফতার, পাঁচ দিনের কারাদণ্ড বরিশাল প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে ববি প্রেস ক্লাবের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বাজিতপুরে মামলা তুলে আনার জন্য বাদীকে হুমকির অভিযোগ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান :- ধর্ম মন্ত্রণালয় জোর করে নারীকে বোরকা পরাবো না: জামায়াতে আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গর্তে পোড়ানো হচ্ছিল নারীর মাথাবিহীন মরদেহ
বরিশালে শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে আনা নতুন বই বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক

বরিশালে শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে আনা নতুন বই বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশালের মুলাদীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সরকারি নতুন বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বেশি শিক্ষার্থী দেখিয়ে এসব বই শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়ে আনা হয়। আজ শনিবার উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই বিক্রির ঘটনা ঘটেছে।

প্রধান শিক্ষক মোসা. মতিয়া বেগম আজ শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের ৪২৮ কেজি বই বিক্রি করে দেন বলে জানান স্থানীয়রা। তবে মতিয়া বেগম নতুন বই বিক্রির বিষয় অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, আলমারি খালি করতে পুরোনো কিছু কাগজপত্র কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. ইউনুছ খান বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে প্রধান শিক্ষক আজ শনিবার সকালে নিজে উপস্থিত থেকে ২০২৩ ও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই বিক্রি করে দেন।

গত দুই বছর বিদ্যালয়ে কম শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত বইয়ের চাহিদা দেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চাহিদা অনুসারে বিদ্যালয়ে বই দেওয়ায় এসব বই নতুনই থেকে যায়। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই রাখার জন্য জায়গা খালি করতে এসব বই বিক্রি করেছেন প্রধান শিক্ষক।

বই ক্রেতা আশরাফুল সরদার বলেন, বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বিগত বছরের বই বিক্রির কথা বলেন। পরে ১৫ টাকা কেজি দরে বিদ্যালয় থেকে ৪২৮ কেজি বই কেনা হয়েছে। এর মধ্যে পুরোনো কোনো কাগজপত্র ছিল না।

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. মতিয়া বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের বই বিক্রির বিষয়টি জানা নাই। তবে কিছু পুরোনো কাগজপত্র কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি বই প্রধান শিক্ষক বিক্রি করতে পারেন না। অতিরিক্ত চাহিদা দিয়ে নেওয়া বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না হলে শিক্ষা কার্যালয়ে ফেরত দিতে হবে।

আর বই পুরোনো হলে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের (ম্যানেজিং কমিটি) সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com