আজ বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল মীরসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে কাজিরহাট থানার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাজিরহাট থানার ঘোড়াঘাট এলাকায় গজারিয়া নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলায় আহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাইদুল মীর জানান, জয়নগর ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ সমর্থক মো. হোসেন হাওলাদারের গজারিয়া নদীর ঘোড়াঘাট এলাকায় মুদির দোকান রয়েছে।
তিনি মুদি পণ্যের আড়ালে দোকানে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রি করেন এবং স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে চুক্তি করে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকার করেন।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর ভাই সাইদুল মীর ঘোড়াঘাট এলাকায় অবস্থানকালে কারেন্ট জাল বিক্রি ও জেলেদের সঙ্গে চুক্তির সময় ইউপি সদস্যকে বাধা দেন এবং সরকারি আইন মেনে চলার অনুরোধ করেন। এতে ইউপি সদস্য ক্ষিপ্ত হলে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়।
একপর্যায়ে ওই ইউপি সদস্য কাজিরহাট থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী লিটন গাজী, দুলাল গাজী ও সোহাগ গাজীসহ ২৫-৩০ জন লোক সাইদুল মীরকে মারধর শুরু করেন। তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে নেয়ামুল সিকদার, মাইদুল মীর, হৃদয় সিকদারসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। তাঁরা সবাই স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী।
আহতদের ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে সাইদুল মীর ও নেয়ামুল সিকদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইউপি সদস্য মো. হোসেন হাওলাদার জাল বিক্রি ও ইলিশ শিকারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাইদুল মীর জেলেদের থেকে ৮০০ টাকার ইলিশ মাছ কিনে ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন। এ নিয়ে ওই নেতার সঙ্গে জেলেদের কথা-কাটাকাটি ও মারামারি হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়ে থাকতে পারেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, আহতদের মধ্যে দুজনকে বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কাজিরহাট থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিয়ে মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।