আজ শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
পবিপ্রবি প্রতিনিধি
নতুন স্বপ্ন আর প্রত্যাশার প্রাঙ্গণে আগমন ঘটছে ইংরেজি নতুন বছরের। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের জনগণও বিভিন্ন উৎসব-আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০২৫ সালকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে ব্যস্ত। বিদায় নিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানসহ নানা ঘটনাবহুল ২০২৪ সাল। নতুন উদ্যম ও চেতনায় ভরপুর হয়ে দেশবাসী নতুন বছরের সম্ভাবনাময় আগামীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। দীর্ঘমেয়াদি প্রাপ্তির হিসাব নিয়ে আশা ও নিরাশার মাঝে নতুন বছর আমাদের স্বপ্নকে কতটা বাস্তবায়িত করতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে।
নববর্ষ বরণের এই শুভক্ষণে, সামনে কী অপেক্ষা করছে তা কারও জানা নেই। তবে অজানা ভাগ্যের ওপর নির্ভর না করে, মঙ্গলময় ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় এগিয়ে চলা প্রয়োজন। শুভ প্রয়াস ও ভালো কিছুর আশা সর্বদাই মানুষের অন্তরে বিরাজমান। এই কল্যাণকর উন্নয়নের আশায় শুরু হোক নববর্ষের প্রথম প্রভাতের পথচলা। নতুন স্বপ্ন আর প্রত্যাশার আলোকে উদ্ভাসিত ২০২৫ সাল আলোকিত দিন ও নিরাপদ জীবনধারার সূচনা হোক।
এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসের কয়েকজন শিক্ষার্থী। নতুন বছরের প্রতিটি মুহূর্ত শিক্ষার্থীদের জন্য নবীন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে, যা তাদের একাডেমিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনকে আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত করার সুযোগ এনে দেয়। তারা সেই সুযোগগুলোকে সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের জীবনকে নতুন মাত্রায় পৌঁছানোর প্রত্যাশা করেন।
“মানবতার অঙ্গীকার: নতুন বছরের আহ্বান”
কালের স্রোতে বিলীন হলো আরও একটি বছর। উন্মোচিত হবে নতুন বছর ২০২৫-এর দ্বার। আশা-নিরাশার দোলাচলে, উত্থান-পতনের মিশ্রণে অতিবাহিত হলো গত বছরের দিনগুলি। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মেলানো যেন এক দুরূহ সমীকরণ।
মানুষে মানুষে ভালোবাসা কমেছে, অভিমান জন্মেছে পর্বতের ন্যায়। মূল্যবোধে লেগেছে অবক্ষয়ের দংশন, যুদ্ধের সাথে লোভের বাড়বাড়ন্ত। সহিংসতা, নৃশংসতা ও নির্মম রক্তাক্ত ঘটনাবলি যেন গত হওয়া বছরটির সাক্ষী। দেশের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ছিল বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। মানুষের প্রত্যাশা ছিল একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার।
আমরাও প্রতিবছরের ন্যায় হাজারো আশা-প্রত্যাশা, স্বপ্ন-সম্ভাবনা ও প্রকৃত মানুষ হওয়ার সংকল্প নিয়ে পথচলা শুরু করি। কিন্তু সেই আশা-প্রত্যাশা ও স্বপ্ন পূরণে নিজেদের কতটা সচেষ্ট রাখি?
নতুন বছরের প্রারম্ভে সকলের প্রতি আহ্বান, আসুন, প্রথমেই একজন ভালো মানুষ হই। পুরানো বছরের হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা, হানাহানি ভুলে গিয়ে নিজেকে নবরূপে গড়ে তুলি। এখানেই রয়েছে মানবজীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা।
মেহেদী হাসান
সেশন ২০২০-২১
“নতুন বছরে ক্যাম্পাসে নবজাগরণ”
এক ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ যেভাবে স্বৈরাচারিতা মুক্ত হয়ে নতুন রূপ নিয়েছে ঠিক সেভাবেই নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা ক্যাম্পাসটাকে নতুন রূপে সাজানো। হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ আসন না থাকার কারণে অনেকেই গণরুমে অবস্থান করে যা সুস্থ ভাবে থাকার অন্তরায়। হল প্রশাসনের প্রতি প্রত্যাশা থাকবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হলের আসন বরাদ্দ দেওয়া। ক্যাম্পাসের আঙিনায় এলোমেলোভাবে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে, আমরা অনেকেই যেখানে সেখানে ময়লা ফেলি। নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা থাকবে আমরা সবাই যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে সঠিক জায়গায় ময়লা ফেলবো এজন্য ক্যাম্পাস প্রশাসনের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে সঠিকভাবে রাস্তার প্রতিটি মোড়ে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করে দেওয়া। নতুন বছরে প্রশাসনের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে সেশনজট কমিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা আরও যেন তারা দ্রুতগামী করে দেয়।
নতুন বছরে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এক সুন্দর সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে নতুন উদ্যমে নতুনভাবে গুছিয়ে এগিয়ে যাক আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
মোঃ ফারহান সাদিক
সেশন ২০২১-২২
“শিক্ষকদের থেকে সহানুভূতিশীল মনোভাবের প্রত্যাশা”
একটি আদর্শ ক্যাম্পাসে থাকতে হয় সুব্যবস্থিত শ্রেণিকক্ষ, আধুনিক পাঠাগার, এবং গবেষণা সুবিধা। যেখানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল ক্যাম্পাসের কোনো শ্রেণিকক্ষে নেই সাউন্ড সিস্টেম,অধিকাংশ শ্রেণীকক্ষের প্রজেক্টরের বেহাল দশা, প্রতিটি ল্যাবে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির সংকট,যা শিক্ষার্থীদের উন্নত পাঠদানের অন্তরায়। হল এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক, যাতে শিক্ষার্থীরা নিশ্চিন্তে পড়াশোনা করতে পারে। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকা উচিত। শিক্ষকদের সহানুভূতিশীল মনোভাব শিক্ষার্থীদের মানসিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। ক্যাম্পাসে সমতা ও অন্তর্ভুক্তির পরিবেশ বজায় রাখা জরুরি, যাতে সবাই একসাথে এগিয়ে যেতে পারে। পবিপ্রবির বরিশাল ক্যাম্পাসে ক্যান্টিনে ও হলের ডাইনিংয়ে উন্নত পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা উচিত। ক্যাম্পাসে সকল ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। নতুন বছরে যেনো কোনো রাজনৈতিক দল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে প্রশাসনকে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে,যা সকল শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে। পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় ক্যাম্পাসের প্রতিটি মোরে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা। পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলো ক্যাম্পাসকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সর্বোপরি, একটি ভালো ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রেরণা দেবে।
মোঃ ফাহিম
সেশন ২০২১-২২
জুলাইয়ের চেতনা: বৈষম্যহীন ভবিষ্যতের স্বপ্ন
জুলাই এর রক্তক্ষয়ী বিপ্লব পর যে নতুন বাংলাদেশ এর সূচনা হয়েছে তা অক্ষত রেখে নতুন বছরে জুলাইয়ের চেতনায় বৈষম্যমুক্ত সুন্দর ক্যাম্পাস বিনির্মাণ আমাদের লক্ষ্য। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল ক্যাম্পাস নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত । লাইব্রেরিতে বই ও জার্নাল সংকট, ল্যাবরেটরি বিভিন্ন সরঞ্জাম ও শিক্ষা উপকরণের অভাব। প্রশাসনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে নতুন বছরে লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বই, জার্নাল এর ব্যবস্থা করা ও ল্যাবরেটরিতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করা । তাছাড়া ক্যাম্পাসের এক মাত্র ছাত্র হলে দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অনেকটা জরাজীর্ণ অবস্থা ও বহু কক্ষ ব্যবহারের অনুপযুক্ত। নতুন বছরে হল প্রসাশনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা হলের ভবন গুলো পর্যাপ্ত সংস্কার করে অনুপযুক্ত রুম গুলো ব্যবহার যোগ্য করে হলের সিট সংকটের কিছুটা হলেও যেন অবসান করা হয়। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এর পরিবহণ ব্যবস্থা। দুঃখজনক হলেও সত্য বিপুল সংখ্যক ছাত্র থাকা সত্বেও ক্যাম্পাসের বাসের সংখ্যা মাত্র একটি। আশা করি নতুন বছরে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পরিবহণ ব্যবস্থা সমৃদ্ধ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি সময়ের দাবি।
নতুন বছরে শিক্ষক , শিক্ষার্থী, প্রশাসন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাক আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস এটাই প্রত্যাশা। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা, নতুন বছর আপনাদের সবার জীবনে কল্যাণ বয়ে আনুক এই কামনা।
সাফওয়াত আহমদ চৌধুরী
সেশন :২০২২-২৩
“পবিপ্রবি বরিশাল ক্যাম্পাসের নববর্ষীয় সংকল্প”
ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে ২০২৪ বিদায় নিলেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে স্মৃতির পাতায়।স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি জাতিকে নতুন করে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছে ২০২৪। বাংলাদেশ সংস্কারমুখী একটি নতুন ক্রান্তিকাল পার করছে।নতুন বছর ২০২৫ এ সংস্কারের অংশ যেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল ক্যাম্পাসেও মেলে এমনটাই আশা।বরাবরের মতো এ বছর যাতে বাজেটে কোনো বৈষম্য না হয় এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নতুন বছরে নতুন রূপে ফুঁটে উঠুক পবিপ্রবির বরিশাল ক্যাম্পাস।ক্যাম্পাসের মেইন গেইট এর কাজ দ্রুত শুরু,হেলথ কেয়ার সেন্টারে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা,ক্যাম্পাসটিকে আলোকিত করার জন্য পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই ।
সর্বোপরি নতুন বছর সবার জন্য আনন্দের হোক,বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে এবং আমাদের পবিপ্রবিকে তুলে ধরার মতো হোক।শুভ নববর্ষ ২০২৫ এবং সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
মাহমুদুল হাসান
২০২২-২৩
“নতুন বছরের যাত্রা: পবিপ্রবি বরিশাল ক্যাম্পাসে সমস্যা ও সমাধান”
নতুন বছরের শুরুটা সবসময় যতটা আকর্ষণীয় হয় ঠিক ততটাই আশা-আকাঙ্ক্ষায় ভরপুর থাকে। নবীনদের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে ক্যাম্পাসে এবছরটা শুরু হতে যাচ্ছে। তবে আগত বছরে পুরনো সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানে পদক্ষেপ নিতে হবে। একাডেমিক কার্যক্রম আরও সুগঠিত হওয়া প্রয়োজন, মিডটার্ম পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে সেই অনুযায়ী নেয়া উচিত। ক্লাসরুমগুলোতে শিক্ষা সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে, এগুলো মেরামত এবং পরিষ্কার করা দরকার। আবাসিক হলগুলোর বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে যার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে শিক্ষার্থীরা, সুপেয় পানির অভাব, ছাত্রী হলে কোনো টিউবওয়েল না থাকায় বিদ্যুতের সমস্যা হলে পানির জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বর ও ভবনের সামনে আবর্জনা পড়ে থাকে, এসব জায়গা পরিষ্কার করে আমরা শোভাবর্ধক গাছ লাগাতে পারি। প্রশাসনিক, একাডেমিক ভবন, অডিটোরিয়াম ইত্যাদি রঙ করা জরুরি। কেন্দ্রীয় মাঠে খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠনগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রশাসনের সহযোগিতার অভাব দেখা যায়। এসব বিষয়ে কোনোরকম অবহেলা না করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যখন সারা দেশে বইছে সংস্কারের হাওয়া, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো যখন অপরাজনীতির বলয় থেকে মুক্ত হতে পেরেছে, তখন নতুন বছরের আবহে আমাদের ১৩ একর আরও সুসংগঠিত ও শিক্ষাবান্ধব হয়ে উঠুক এই আমাদের প্রত্যাশা।
সুমাইয়া আমিন
সেশন ২০২২-২৩
“নতুন বছরে বরিশাল ক্যাম্পাসের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা”
নতুন বছরের আগমন সবসময়ই নতুন সম্ভাবনা, আশা এবং পরিকল্পনার সূচনা নিয়ে আসে। বহু সংগ্রাম, লড়াই এবং দেশ বদলের ইতিহাস নিয়ে বিদায় নিচ্ছে ২০২৪ সাল। নতুন বছরের আগমন হলেও তেমন কোনো নতুনত্বের ছোঁয়া মেলেনি পবিপ্রবির বরিশাল ক্যাম্পাসে। অ্যাকাডেমিক ভবন থেকে শুরু করে আবাসিক ভবন পর্যন্ত রয়েছে বিভিন্ন রকম সমস্যা। অ্যাকাডেমি ভবন গুলোতে নেই পর্যাপ্ত প্রজেক্টর, সাউন্ড সিস্টেম, নেই কোনো খাবার পানির ব্যবস্থা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী টয়লেট গুলো। আবাসিক ভবন গুলোতে হয়েছে বিপজ্জনক ফাটল, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, ডাস্টবিন না থাকায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় জমা হয় ময়লার স্তূপ, খেলার মাঠ সমতল না হওয়ায় খেলার সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয় শিক্ষার্থীরা, পর্যাপ্ত বাস না থাকায় বিশেষ দিন গুলোতে ভোগান্তিতে পড়ে সকলে। লেডিস হলে টিউবয়েল না থাকায় বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় খাবার পানির সংকটে পড়ে মেয়েরা। লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত বই এর অভাব, ল্যাবে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ যন্ত্রপাতি, ফার্ম না থাকায় হাতে কলমে শিক্ষার ব্যাপক ক্ষতি হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের তেমন কোনো সুযোগ নেই। বিভিন্ন ক্লাব যেমন ডিবেট, কালচারাল ক্লাবের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। যা সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে সাহায্য করবে।
আমরা আশাবাদী, ক্যাম্পাসে চলমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে প্রশাসন। নতুন বছরে সকলের প্রত্যাশা, পরিকল্পনা এবং প্রচেষ্টা একত্রিত হয়ে পবিপ্রবির বরিশাল ক্যাম্পাসকে একটি আধুনিক, সুশৃঙ্খল এবং শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে পরিণত করবে।
মাসুদা আক্তার রিফা
২০২২-২৩ সেশন