আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
পটুয়াখালীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে আফরোজা আক্তার খাদিজা (২৩) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে। বুধবার বিকেলে পটুয়াখালীর কাঠপট্রি এলাকার তালতলী রোডে এমন ঘটনা ঘটে।
নিহত আফরোজার বাবার নাম হানিফ মুন্সি এবং মায়ের নাম জাহানারা বেগম। নিহতের বাবা কাঠমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
স্থাণীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নিহত আফরোজা আক্তারের সাথে অনেক বছর ধরে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে সেই ছেলে আফরোজার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং যোগাযোগ করলেও ঝগড়াঝাটি করতো। এতে আফরোজা মানষিকভাবে ভেঙ্গে পরে। স্থানীয় একটি হাসাপাতালে চাকুরি করতো আফরোজা। কিন্তু মানষিকভাবে ভেঙ্গে পরায় সেই চাকুরীটি ছেড়ে দেন তিনি।
পরে বুধবার দুপুরে মোবাইল ফোনে ঝগড়াঝাটি করতে শোনেন স্থাণীয়রা। বিকেলে নিজের ঘরে ফেসবুকে স্টাটাসে তার প্রেমিক এর কথা উল্লেখ করে ওরনা দিয়ে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে আফরোজা। তখন ঘরে তার বাবা, মা এবং ভাই ছিলো না। পরে তার ছোট ভাই আফরোজাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহত আফরোজা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন— ‘আমি তাকে ভালোবাসছিলাম। শুনছিলাম পুরুষ মানুষ ভালোবাসা পাইলে কিছু চায় না। তুমি আমাকে কীভাবে ছোট করলা? কীভাবে? আমি তোমার জন্য কি না করছি? কি না করছি তোমাকে ভালোবেসে? আজ আমাকে… বানাইলা। আমি কোন দিন কল্পনা করি নাই এই প্রতিদান তুমি দিবা! আমি তো সরে গেছিলাম। কেন আসছো আবার? আমার শখের পুরুষ আমাকে দুনিয়া ছাড়তে বাধ্য করছে। দোষ তার না, দোষ আমার। আমি তাকে ভালোবাসছি, আমার দোষ। আমি তাকে প্রাধান্য দিছি। ভালো থাকো, আমার ভালোবাসা। তোমার ভালো থাকার জন্য, এই আয়োজন। আমাকে মাফ করবা মা, আমি তোমার ভালো মেয়ে হইতে পারি নাই। আমার কাফন এর টাকা আমার ব্যাগে মা।’
এদিকে তরুণীর মৃত্যুতে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত খাদিজা আক্তারের সাথে অনেক বছর ধরে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে সেই ছেলে আফরোজার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং যোগাযোগ করলেও ঝগড়াঝাঁটি করতো। এতে খাদিজা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ বলেন, দুপুরে এমন একটা অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।