আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
ক্যানসারে আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসা কীভাবে করাবেন, জানেন না দিনমজুর বাবা মো. হাসিব মল্লিক। তানভীর আহম্মেদ হৃদয় এস এসসি পরীক্ষার পর পড়াশোনার জন্য ভতি হয়েছিলেন সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে। সংসারে অভাবের কারণে পড়াশোনার পাশাপাশি রিকশা চালানো শুরু করেন বাবা মা কে সাহায্য করার জন্য। হটাৎ হৃদয় প্রচন্ড অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসক শনাক্ত করে হৃদয় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। অভাবের সংসারে ভিটেমাটি যতটুকু ছিলো বিক্রি করে, এনজিও থেকে লোন নিয়ে এবং আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশীদের ধারকর্জ করেও এ রোগের চিকিৎসার খরচ বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন তার পরিবার। এবার ক্যান্সারে আক্রান্ত তানভীর আহমেদ হৃদয়ের জন্য এগিয়ে এসেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ জেলা ও জজকোর্টের জিপি এডভোকেট সৈয়দ সাব্বির আহম্মেদ, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ রেজাউল হক রিয়াজ, এডভোকেট সৈয়দ আশিক আহমেদ।
এডভোকেট সৈয়দ সাব্বির আহমেদ জানান, হৃদয় ক্যানসারে আক্রন্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে ৫০ হাজার টাকার একটা চেক দিয়ে সহযোগিতা করেছি। তার হতদরিদ্র পিতার পক্ষে চিকিৎসার খরচ যোগানো সম্ভব না বিধায় আমরা কয়েকজন মিলে এই রোগীকে সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এধরণের মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। আমারা আশা করছি মহান আল্লাহর ইচ্ছায় হৃদয় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। এসময় তিনি সমাজের ধনাঢ্য সহৃদয় ব্যাক্তিদের হৃদয়ের পাশে দাড়াতে আহ্বান জানান। হৃদয়কে এর আগেও জেলা প্রশাসকের থেকে ৩০ হাজার টাকা সাহায্যের ব্যাবস্থা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, তানভীর আহমেদ হৃদয় এই রোগ থেকে সুস্থ হতে ৬ থেকে ৭ টি কেমোথেরাপি লাগবে যার একটির দাম মোট ৭২ হাজার টাকা বলে জানান তার পরিবার। এই খরচ বহন করা তার রিকশা চালক পিতার পক্ষে সম্ভব না। তাই ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে সামর্থ্যবানদের কাছে সাহায্যে আবেদন জানিয়েছেন হৃদয়ের পরিবার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছেলেটির পুরো চিকিৎসা সম্পান্ন করতে প্রায় ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন।
হৃদয়ের মামা ইয়াছিন সিকদার জানান, পরিবারের তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় সন্তান হৃদয় ছয় মাস আগে রিকশা চালাতে গিয়ে হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পিরোজপুর, খুলনা ও ঢাকা চিকিৎসাচলাকালীন সময় চিকিৎসক নিশ্চিত করে হৃদয় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। দরিদ্র রিকশা চালক হাসিব মল্লিক তার সামান্য আয়ে সংসার চলছিল না। তাই হৃদয় এস এসসি পরীক্ষার পর পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারের সাহায্য করার জন্য নিজেই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন রাস্তায়। বর্তমানে টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করতে পারছে না। তাই তিনি দেশের বিত্তবান ও দাতাসংস্থার নিকট সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।