আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
খেলা ডেস্ক :-
সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ দলে না খেলানোর দাবি জানিয়েছেন একদল বিক্ষোভকারী। আজ দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের সামনে ‘মিরপুর ছাত্রজনতা’র ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাকিবকে খেলানো হলে ম্যাচের দিন কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
কর্মসূচির জেরে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি হলে বা দেশের ক্রিকেট কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিসিবিকে এর দায়ভার নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সাকিবকে খেলতে না দিতে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ফটকে যখন বিক্ষোভ চলছিল, তখন ভেতরে একাডেমি মাঠে অনুশীলন করছিল দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল। ২১ অক্টোবর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট শুরু হবে।
এই টেস্টের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয় বুধবার বিকেলে। ম্যাচটি খেলতে আজ রাতে দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল সাকিবের। তবে দুবাইয়ে অবস্থানরত সাকিব জানান, আপাতত দেশে আসা হচ্ছে না তাঁর। এর মধ্যেই আজ দুপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সামনে জড়ো হন শ খানেক ব্যক্তি। তাঁরা সাকিবের খেলার বিরোধিতা করে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে নানা বক্তব্য তুলে ধরেন। এর মধ্যে ছিল ‘নো এন্ট্রি সাকিব’, ‘সাকিব তুমি মিরপুরের ক্রিকেট পিচ চিনতে পারো। কিন্তু আমরা মিরপুরের রাজপথ চিনে বড় হইছি’, ‘আমার ভাই কবরে, সাকিব কেন বাইরে’, ‘হাসিনার দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’।
সাকিবের বিরুদ্ধে স্লোগানের সময় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রধান গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভেতরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অবস্থান নেন। কিছুটা দূরে ছিল সেনাবাহিনী সদস্যদের দুটি গাড়ি, যাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলকে নিরাপত্তা দিতে মাঠে এসেছিলেন। একপর্যায়ে প্রধান ফটকের বাইরে বিক্ষোভকারীদের পাঁচ প্রতিনিধি বিসিবি কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান। বিসিবি সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী এখন আইসিসি বৈঠকে যোগ দিতে দুবাইয়ে। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন বিসিবি প্রশাসন বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) হাসিব।
বিসিবি সভাপতি বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘সাকিবকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি একজন ভোটচোর, হাসিনার দালাল, দুর্নীতিবাজ, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির অপরাধী, জুয়ার দালালের শরীরে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির জার্সি তুলে দিচ্ছেন।’
সাকিবকে অতিদ্রুত বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, তা না করলে খেলার দিন মিরপুর এলাকায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। ফারুক আহমেদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, ‘এর ফলে যদি কোনো অরাজকতা সৃষ্টি হয়, বাংলাদেশের মাটিতে অন্য দেশগুলো খেলতে না আসে কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট আইসিসির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্য যেকোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে ক্ষেত্রে সব দায়ভার বিসিবি প্রধান হিসেবে আপনাকে নিতে হবে।’
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ফটকের সামনে যেখানে বিক্ষোভ হয়েছে, একাডেমি মাঠ সেখান থেকে খুব দূরে নয়। বিসিবি জানিয়েছে, বিক্ষোভের বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দল কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে এ ঘটনার পর দক্ষিণ আফ্রিকা দলের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।