আজ শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুইস গেট বাঁধের এক পাশের গাছ কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। গাছের গোড়া তুলে নেওয়ায় বাঁধে অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বাঁধটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় এক যুবদল নেতা এবং তাঁর স্বজনরা গাছগুলো বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বরিশাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে রত্নপুর ইউনিয়নের সুইস গেট-থানেশ্বর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এক পাশে স্থানীয় লোকজন মেহগনি রোপন করেন। নিয়ম অনুযায়ী এসব গাছের মালিক পাউবো। প্রতিষ্ঠানটি এসব গাছ কেটে বিক্রি করবে। পরে তারা গাছ বিক্রির টাকার একটি অংশ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ভাগ করে দেবে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ- পাউবোর অনুমতি ছাড়াই ৭-৮ দিন ধরে রত্নপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সদস্য ছলেমান সরদার ৫০ টি গাছ বিক্রি করেছে ও কিছু গাছ কেটে ফেলছে।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০ থেকে ১২ টি গাছ কেটে নিয়েছে। গাছের গোড়ার মাটি খুঁড়ে তুলে নেওয়ায় বাঁধে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছে- ৫০ টি গাছের বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা হতে পারে। পার্শ্ববর্তী এলাকার গাছ ব্যবসায়ী কালাম এসব গাছ কিনছেন।
অভিযুক্ত ছলেমান সরদার বলেন, আমি এই জায়গার লিস এনেছি। তাই আমি গাছ বিক্রি করেছি।
রত্নপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার স্থানীয় একাধিক লোকজনকে নিয়ে আমি এই গাছ কাটতে বাঁধা দেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি যাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড পায়।
গাছ ব্যবসায়ী কালাম বলেন , ‘আমি মালিকদের কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা গাছ কিনেছি। তাতে কার কী?
আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, আমার ও বন কর্মকর্তার গাছ বিক্রি বিষয়টি জানা নেই। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
পাউবোর বরিশাল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.খালেদ বিন অলীদ বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই তবে লোক পাঠাচ্ছি।