আজ শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন

Logo
অভিন্ন জলরাশি বিষয়ে সমঝোতা না হলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর হবে

অভিন্ন জলরাশি বিষয়ে সমঝোতা না হলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কষ্টকর হবে

আওয়ার ডেইলি বাংলাদেশ ডেস্ক:-

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অভিন্ন জলরাশির ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতায় আমরা এখনও পৌঁছাতে পারিনি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাঁচতে আমাদেরকে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। যেটা বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেজন্য অভিন্ন জলরাশি বিষয়ে সমঝোতা না হলে ভবিষ্যতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের জন্য কষ্টকর হবে।রোববার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীর ব্রাক সেন্টারে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কপ নেটওয়ার্ক কনভেনশন- ২০২৪’ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত সম্পদ অথবা টেকনিক্যাল (প্রযুক্তিগত) জ্ঞান নেই। সেজন্য আমরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে লস অ্যান্ড ড্যামেজসহ অন্যান্য ফান্ডে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রভাব থেকে বাঁচতে আঞ্চলিক পর্যায়েও সহযোগিতা বাড়ানো দরকার। কারণ, কি পরিমাণ বৃষ্টিপাত উজানে হচ্ছে, কখন পানি ছেড়ে দেওয়া হবে, এগুলোর ওপর আগাম সতর্কতার বিষয়ে সমঝোতা না থাকলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য এর প্রভাব মোকাবিলা করা কষ্টকর হয়ে যাবে। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধান চাইলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল এবং আঞ্চলিক পর্যায় দুটিই গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এবারের বন্যার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকভাবে অতি বৃষ্টি, উজান থেকে পানি ছেড়ে দেওয়া, আগাম সর্তকতা না থাকা বন্যার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে দেশের আবহাওয়ায় একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। যার কারণে গরম, শীত, বৃষ্টি, বন্যা যা হচ্ছে সেটিই চরমভাবে হচ্ছে। এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে যেমন দোষ দেই তেমনি একই সাথে অভিন্ন জলরাশির ব্যাপারে সমঝোতা না থাকাও বড় কারণ। একইসাথে দেশের বিভিন্ন স্থানের বাঁধগুলো নির্মাণের পর থেকে দীর্ঘসময় ধরে মেরামত না করার কারণও বন্যা পরিস্থিতির কারণ হিসেবে ভূমিকা রাখছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘিরে খাদ্য সংকট রয়েছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে খাদ্য ঘাটতি না হয় সেজন্য দেশের বাজারকে প্রস্তুত রাখতে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। যদিও সরকারের সামর্থ্য কম। কিন্তু সরকার এটা নিশ্চিত করবে যেন, খাবার এবং জ্বালানিতে কোন ঘাটতি না হয়।এর আগে উপদেষ্টা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কপ নেটওয়ার্ক কনভেনশন- ২০২৪’ এর উদ্বোধনী পর্বে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন।অনুষ্ঠানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সুইডেন অ্যাম্বাসির হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মিস মারিয়া স্ট্রিডসম্যান, ইউএন উইমেন রিপ্রেজেনটেটিভ বাংলাদেশ গীতাঞ্জলি সিং। এছাড়া অনুষ্ঠানে জলবায়ু অভিযোজনে নিজ-নিজ এলাকায় অবদান রাখার জন্য দেশর বিভিন্ন অঞ্চলের পাঁচজন নারীকে সম্মাননাও জানানো হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com