আজ শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন

Logo
News Headline :
সিরাজগঞ্জে দূর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা  তজুমদ্দিনে সমন্বিত স্থানীয় জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত  বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রায় ৬ মাস ধরে বন্ধ। আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবীতে পিরোজপুরে বিসিএস শিক্ষকদের মানববন্ধন যতাযত মর্যাদা ও আনন্দ উৎসবের মধ‍্য দিয়ে জুড়ীতে পালন হল পবিত্র বড়দিন ফরিদপুরের চরভদ্রাসন সরকারি কলেজে শিক্ষকদের উদ্যোগে আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে মানববন্ধন  ফরিদপুরে সাদ পন্থীদে সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে   বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকে  স্মারক লিপিপ্রদান  বোরহানউদ্দিনে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, আঞ্চলিক প্রেস ক্লাবের নিন্দা ভোলায় ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসার শিশু ছাত্রের মৃত্যু কুলিয়ারচরে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর মুখে ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ ডাক
বরিশালে শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে আনা নতুন বই বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক

বরিশালে শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে আনা নতুন বই বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বরিশালের মুলাদীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সরকারি নতুন বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বেশি শিক্ষার্থী দেখিয়ে এসব বই শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়ে আনা হয়। আজ শনিবার উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই বিক্রির ঘটনা ঘটেছে।

প্রধান শিক্ষক মোসা. মতিয়া বেগম আজ শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের ৪২৮ কেজি বই বিক্রি করে দেন বলে জানান স্থানীয়রা। তবে মতিয়া বেগম নতুন বই বিক্রির বিষয় অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, আলমারি খালি করতে পুরোনো কিছু কাগজপত্র কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. ইউনুছ খান বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে প্রধান শিক্ষক আজ শনিবার সকালে নিজে উপস্থিত থেকে ২০২৩ ও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই বিক্রি করে দেন।

গত দুই বছর বিদ্যালয়ে কম শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত বইয়ের চাহিদা দেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চাহিদা অনুসারে বিদ্যালয়ে বই দেওয়ায় এসব বই নতুনই থেকে যায়। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই রাখার জন্য জায়গা খালি করতে এসব বই বিক্রি করেছেন প্রধান শিক্ষক।

বই ক্রেতা আশরাফুল সরদার বলেন, বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বিগত বছরের বই বিক্রির কথা বলেন। পরে ১৫ টাকা কেজি দরে বিদ্যালয় থেকে ৪২৮ কেজি বই কেনা হয়েছে। এর মধ্যে পুরোনো কোনো কাগজপত্র ছিল না।

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. মতিয়া বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের বই বিক্রির বিষয়টি জানা নাই। তবে কিছু পুরোনো কাগজপত্র কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি বই প্রধান শিক্ষক বিক্রি করতে পারেন না। অতিরিক্ত চাহিদা দিয়ে নেওয়া বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না হলে শিক্ষা কার্যালয়ে ফেরত দিতে হবে।

আর বই পুরোনো হলে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের (ম্যানেজিং কমিটি) সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com